ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বাংলানিউজে সংবাদ, একটি ফেসবুক পোস্ট অতঃপর

বিপুর দায়িত্ব নিলেন বিপু

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
বিপুর দায়িত্ব নিলেন বিপু ছবি: ফুলবিক্রেতা বিপু ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিপু

ঢাকা: বিপু। বয়স ৮।

কামরাঙ্গিচরের কবির মিয়ার সন্তান। পহেলা ফাল্গুনে সবাই যখন বাসন্তি রঙের পোশাক পড়ে বসন্ত উদযাপনে ব্যস্ত তখন বিপু দুইটি ফুল বিক্রি করে অন্ন সংস্থানের আশায় চারুকলা অনুষদের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত সবার কাছে ছুটে বেড়াচ্ছিলো। তারই সংবাদ প্রকাশিত হয় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এ।

বাংলানিউজের সংবাদ নজরে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি সেই খবরটি পোস্ট দেন। সঙ্গে একটি নোট... ‘বিপু ভাই, নামে নামে মিলের কারণে শুধু যমে টানেনা, জীবনও বদলে যেতে পারে। আমি জানি আমার এই পোস্ট আপনার চোখে পড়লে বদলে যাবে ছোট্ট বিপুর জীবন.......অপেক্ষায় রইলাম। ’

মাহবুব হক শাকিলের এই বিপু ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনজিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তাকে উদ্দেশ্য করেই এই আহ্বান। সঙ্গে নসরুল হামিদের ফেসবুকে পোস্ট ট্যাগও করে দেন তিনি।
 
মাহবুবুল হক শাকিলের লেখা নজরে আসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের। তখুনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাচ্চাটির পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী নিজে।

সত্যি হয়তো সবার উদ্যোগে জীবন পাল্টে যাবে ফুল বিক্রেতা বিপুর।

এ নিয়ে বাংলানিউজের কথা হচ্ছিলো নসরুল হামিদের সঙ্গে। শিশুদের প্রতি নিজের মমতা ভালবাবাসার কথা জানালেন তিনি।  

বললেন, শিশুরা ফুলের মতো। তারাই আমাদের ভবিষ্যত। আজকের শিশুরা মানুষের মতো মানুষ হলেই আমাদের পরবর্তী সমাজটা অনেক বেশি উন্নত হবে। আমরা অনেকেই শিশুদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেই। আমি বিপুর পড়ালেখার দায়িত্বও নিতে চাই।  

বর্তমানে শিশু বিপুর নির্দিষ্ট ঠিকানা খোঁজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। শাহবাগের স্থানীয় ফুল বিক্রেতারা জানান, পহেলা ফাল্গুনে প্রচুর ফুল বিক্রি হয়। তাই অনেক সিজনাল ফুল বিক্রেতাও এই সময় শাহবাগে খুচরা ফুল বিক্রি করতে আসে। তাদেরই একজন বিপু। কিন্তু তার ঠিকানা জানা নেই।
 
পহেলা ফাল্গুন সকালে চারুকলা অনুষদ আঙিনায় বিপু বাংলানিউজকে জানায়, সে কামরাঙ্গিচরের একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।   বাবা কবির, মা ও দুই ভাই বোনকে নিয়ে কামরাঙ্গিচরের বসবাস বিপুর। সংশ্লিষ্টরা কামরাঙ্গিচরের বিপুর খোঁজ করছেন।

বিপুর বসন্তবরণ

বাংলাদেশ সময় ১৯৩১ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
ইউএম /এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।