ঢাকা: রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে সানস্ত্রিন। সারাবছর, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সানস্ত্রিনের বেশি প্রয়োজন পড়ে।
বর্তমানে ত্বকের ব্যাপারে সবাই সচেতন। ত্বকের সুরক্ষায় তাই সান প্রোটেকটিভ লোশন, ক্রিম, ফাউন্ডেশন, পাউডার ও লিপস্টিকও বেছে বেছে কিনছেন সবাই। কিন্তু এই পণ্যগুলো কি সত্যিই কাজ করে? বা এগুলো সত্যিই কি নিরাপদ?
সম্প্রতি এসপিএফ সমৃদ্ধ কসমেটিকের ওপর একটি পরীক্ষা করা হয়েছে। হাই-টেক সুকো ইউভি ক্যামেরায় ছবি তুলে দেখানো হয়েছে, সান প্রোটেকটিভ প্রসাধনী ব্যবহারের পরও ত্বকে কী পরিমাণ আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি প্রবেশ করতে পারে। ছবিতে ত্বকের যে অংশগুলো নীলচে দেখা যাচ্ছে, সেখানে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৌঁছেছে। আর বাদামি গাঢ় অংশগুলো সূর্যরশ্মি থেকে ভালোভাবে সুরক্ষিত অংশ। পরীক্ষাটি করার পর লন্ডন হার্লে স্ট্রিট ভিত্তিক কসমেটিক ডার্মাটলোজিস্ট ডক্টর স্যাম বান্টিংকে দেখানো হয়। বান্টিং সানস্ক্রিনের ভালো-খারপ বিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্তব্য করেছেন-
প্রাইমার: এসপিএফ ২০
কোমল ও লং লাস্টিং মেকাপ বেসমেন্টের জন্য প্রাইমার ব্যবহার করা হয়। এর আরেকটি উপাকারিতা হচ্ছে, এটি সান প্রোটেকশন দেয়। স্ম্যাশবক্সের ছবিতে মুখে ফাউন্ডেশন প্রাইমার এসপিএফ ২০ (২৮ পাউন্ড) এর পাতলা পরত দেওয়া হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রাইমার ব্যবহার করার পর ত্বকের কিছু অংশ সুরক্ষিত হলেও পুরোটা সুরক্ষিত নয়। কারণ হিসেবে ডক্টর বান্টিং বলেন, এই সুরক্ষা নির্ভর করে পণ্যটির গায়ে যে পরিমাণ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে তার ওপর। এখানে উল্লেখ রয়েছে, ত্বকের প্রতি স্কয়ার সেন্টিমিটারে দুই মিলিগ্রাম প্রাইমার ব্যবহার করলে তা পুরোপুরি সুরক্ষা দেবে। এর কম ব্যবহারে পুরোপুরি প্রোটেকশন পাওয়া যাবে না।
ময়েশ্চারাইজার এসপিএফ: ১০
কিছু সান ক্রিমে ময়েশ্চরাইজার ও প্রাইমার দুটোই থাকে। ইউভি ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, প্রাইমারের চেয়ে ময়েশ্চার ক্রিম এসপিএফ ১০ তুলনামূলক ভালো প্রোটেকশন দেয়। ডক্টর বান্টিং বলেন, এসপিএফ ১০ ত্বকের জন্য যথেষ্ট সুরক্ষা নয়। বেশিরভাগ ডার্মাটোলজিস্ট যেসব এসপিএফের পরামর্শ দেন, এসপিএফ ১০ তার মধ্যে সবচেয়ে নিচে।
ব্লাশার ও বাম: এসপিএফ ১৫-৩০
চোখ ও ঠোঁটের অংশগুলোরও সান প্রোটেকশনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু শুধু মেকআপই কি যথেষ্ট? চোখের নিচে এফাসারনেস কনসিলার এসপিএফ ৩০, চোখের উপর বেয়ার মিনারেল ক্রিম আইশ্যাডো এসপিএফ ১৫, ঠোঁটে লকসিটান’স টিন্টেড লিপ বাম এসপিএফ ২৫ ও গালে পেরিকোন এমডি নো ব্লাশ ব্লাশ এসপিএফ ৩০। মুখের যেসব অংশে এগুলো ব্যবহার করা হয়, সেসব স্থান সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু বাকি অংশ থাকে অরক্ষিত।
ডক্টর বান্টিং জানান, যদিও আমি শুধুমাত্র কসমেটিক্সের ওপর নির্ভর করতে বলি না। মেকআপের নিচেও আলাদা সান প্রোটেকশন থাকতে হবে।
মিনারেল পাউডার: এসপিএফ ২৫
এ ধরনের মেকআপে লোহা, অক্সাইড, ইস্পাত ডাইঅক্সাইড ও মাইকা ব্যবহৃত হয়। যা ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। ক্লারিন ও বব্বি ব্রাউন ব্র্যান্ডের মিনারেল বেসড পাউডার ফাউন্ডেশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বান্টিংয়ের মতে, এটা খুব একটা উপকারি নয়। পাউডার মূলত ম্যাট ফিনিশ দিতে মুখের টি-জোনে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা দীর্ঘসময় অব্দি সুরক্ষা দেয় কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৯ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
এসএমএন/এএ