প্রথমার্ধে ম্যানচেস্টার সিটিকে বেশ ভালোভাবেই আটকে রাখলো এভারটন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর্লিং হালান্ড একাই জোড়া গোল করে দৃশ্যপট বদলে দিলেন।
ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আজ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা এভারটনকে আজ শুরু থেকেই চেপে ধরেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু গোলের দেখা পেতে সিটিকে অপেক্ষা করতে হয় হালান্ড-ম্যাজিকের। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার দলের প্রয়োজনে ঠিক সময়েই জ্বলে উঠলেন। আর তাতে স্বস্তির তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়লো তার দল।
পায়ের ইনজুরিতে ডিসেম্বরের অধিকাংশ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে হালান্ডকে। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও গোলের দেখা পেতে অনেকটা সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় তাকে। প্রথমার্ধে গোলমুখে শটই নিতে পারছিলেন না তিনি। তার সতীর্থরাও এভারটনের রক্ষণ ভেঙে পারছিলেন না জালের খোঁজ।
অবশেষে ৭১তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন হালান্ড। এভারটন কর্নার ক্লিয়ার করতে না পারলে বল চলে যায় ব্যাক পোস্টে থাকা হালান্ডের কাছে। বল পেয়েই প্রথম শটেই বল জালে পাঠান তিনি। যদিও এভারটনের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বল তার হাতে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
গোল হজমের পর শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে এভারটন। এই সুযোগে তাদের রক্ষণে কিছুটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে যান হালান্ড। একের পর এক আক্রমণে নেতৃত্ব দেন এই নরওয়েজিয়ান। ৮৫তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার থ্রো বল থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন তিনি। এভারটনের লড়াই সেখানেই শেষ হয়ে যায়। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ফলে শীর্ষে উঠার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি।
২৩ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে সিটি। সমান ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুই অবস্থান লিভারপুলের। তিনে থাকা আর্সেনালের সংগ্রহ ৪৯ পয়েন্ট। আর এভারটন ২৪ ম্যাচে মাত্র ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৮তম স্থানে। অর্থাৎ একসময়ের পরাশক্তি এই ক্লাবটি এখন দ্বিতীয় স্তরে নেমে যাওয়ার শঙ্কায়।
তবে সিটির শীর্ষে থাকার আনন্দ কেড়ে নিতে পারে লিভারপুল। আজ রাতেই ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বার্নলির মুখোমুখি হবে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। তবে গত বছরের ২৪ নভেম্বরের পর শীর্ষে উঠে লিভারপুলকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের বার্তাই দিল সিটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়েই সিটির এটি টানা দশম এবং প্রিমিয়ার লিগে টানা ষষ্ঠ জয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এমএইচএম