ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বরং আমরাই ‘স্যাক্রিফাইস’ করেছি : কিরণ

সিনিয়র করসেপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বরং আমরাই ‘স্যাক্রিফাইস’ করেছি : কিরণ

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের সঙ্গে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। আজ ১০ দিন পর আসরের ট্রফি হাতে পেয়েছে দল।

ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে নিজের ক্ষোভ ঝাড়লেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী উইংয়ের চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ।  

প্রতিপক্ষ ভারত বলেই ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে যৌথ চ্যাম্পিয়নের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়েছে। পুরস্কার বিতরণীর পর কিরণ বলেন, ‘অর্জন তো সব সময়ই ভালো লাগে। এখানে ট্রফি পাওয়া নিয়ে আমাদের কোনও সংশয় ছিল না। যেহেতু যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি ট্রফি আমরা পাবোই। আমরা যেহেতু আয়োজক ছিলাম, স্বাভাবিক ভাবেই আমরা স্যাক্রিফাইস করেছি। ভারত আমাদের মেহমান ছিল তাদের জন্য আমরা স্যাক্রিফাইস করেছি। ’

‘বাংলাদেশ কিভাবে খেলেছে সকলেই জানেন। আমরা ভাগ্যের জোড়ে চ্যাম্পিয়ন হইনি। আমরা যোগ দল হিসেবেই শিরোপা নিয়েছি। যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বরং আমরা স্যাক্রিফাইস করেছি। সত্যিকার অর্থে চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের ছিল। কারণ আপনারা জানেন ভারত মাঠ ছেড়ে গেছে। তারা প্রতিবেশী দেশ, তাদেরকে আমরা ভালোবাসি, সম্মান করি তাই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। ’-যোগ করেন কিরণ।  

গত ৮ এপ্রিল কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আসরের ফাইনাল। যেখানে ঘটেছিল তুলকালাম কাণ্ড। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারেও ১১-১১ ব্যবধানে শেষ হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ।  

ফাইনালের ম্যাচ কমিশনার টসের মাধ্যমে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করলে শুরু হয় আবারও জটিলতা। বহু নাটকীয়তার পর দুই দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে সাফ। ম্যাচ কমিশনারের এই ভুল নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে কিরণ বলেন, ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করার কিছু নেই। নিয়ম অনুযায়ী, এটা এএফসিতে চলে গেছে। যেহেতু এই ম্যাচ কমিশনার এএফসির। এএফসিতে এটা চলে গেছে। সেখানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি আশা করি তারা ভালো ভাবেই অ্যাকশন নিবে। ’

ভারত মাঠ ছেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ একক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার ছিল। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে কিরণ বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরাতো তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াব না। আমরা চাইলেই সেটা করতে পারতাম। নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে একক চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম। সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হতো। এমনটা আমরা চাইনি। তাদের সঙ্গে সবসময় আমাদের দেখা হবে। তাদের সঙ্গে নিয়মিতই আমাদের খেলতে হবে। তার চেয়ে বড় বিষয় তারা ছিল আমাদের মেহমান। মেহমানদের সঙ্গে যে ব্যবহারটা করা প্রয়োজন আমরা তাই করেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।