বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ফিফার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এমনটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত বছরের শুরুতে ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৩২ থেকে ৪০-এ উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টে আরো আটটি দেশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী ইনফান্তিনো। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জুরিখে ফিফার কাউন্সিল সভায় প্রস্তাব জমা দেন ফিফা সভাপতি। ২০১৬ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (ইউরো) দলের সংখ্যা বৃদ্ধি (১৬ থেকে ২৪) নিয়েও বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
ইনফান্তিনোর প্রস্তাব অনুযায়ী, বর্তমান ফরমেটের সঙ্গে নতুন আরো আটটি দল যোগ হয়ে তা ১৬-তে ঠেকবে। প্রতি দলে থাকবে তিনটি করে দেশ। টুর্নামেন্টের শুরুতে এক ম্যাচের নকআউট রাউন্ডে ১৬টি দল বাদ পড়বে। এরপর ৩২টি দল নিয়ে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ পর্ব শুরু হবে। ২০১৭ সালের ফিফা কাউন্সিলে এটি অনুমোদিত হয়।
ইনফান্তিনো জানান, ‘ধারণাটা হচ্ছে, ১৬টি টিম সরাসরি গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ হবে। বাকি ৩২টি দলকে যে দেশে বিশ্বকাপ হবে সেখানে প্রাথমিক পর্বে খেলতে হবে। এর মানে হচ্ছে, আমরা ৩২ দল নিয়ে স্বাভাবিক ওয়ার্ল্ডকাপ অব্যাহত রাখবো। কিন্তু মোট ৪৮টি টিম তাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। ’
‘ফিফার লক্ষ্য পুরো বিশ্বেই ফুটবলকে উন্নত করা। এখানে ওয়ার্ল্ডকাপ সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। এটা একটা প্রতিযোগিতার চেয়েও বেশি কিছু, এটা একটা সোস্যাল ইভেন্ট। এসব আইডিয়া থেকে সেরা সমাধান বের করতে হবে। যেটি সেরা সেটিই আমরা দেখবো। ’-যোগ করেন ফিফা প্রেসিডেন্ট।
গত বছর সেপ ব্লাটারের উত্তরসূরি হিসেবে ফিফার সিংহাসনে বসেন ইনফান্তিনো। আর এসেই ফুটবলের গভর্নিং বডিকে নতুন ধারণা দেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ‘গত বিশ্বকাপের একটি ব্যাপার আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যেখানে ইংল্যান্ড ও ইতালি কোস্টারিকার মতো দলের সঙ্গে খারাপ খেলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। সুতরাং ৪৮ দলের বিশ্বকাপটি খেলার সৌন্দর্য আরও বাড়াবে। কারণ প্লে-অফ রাউন্ডে ৩২ দল হবে সেরা বাছাই। ’
১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপটি অনুষ্ঠিত হয় ১৩টি দল নিয়ে। পরবর্তী বিশ্বকাপে (১৯৩৪) যোগ হয় আরও তিনটি দল। ১৯৮২ সালে ১৬ দল থেকে হয় ২৪ দল। আর ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে ৩২ দল নিয়ে খেলা শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ১০ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি