সোমবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হয় ঢাকা আবাহনী বনাম পোচন সিটিজেন ফুটবল ক্লাবের খেলা। শুরু থেকেই ধীরগতিতে শুরু করে দুটি দল।
প্রথমার্ধের ১৭মিনিটে আবারও গোল করার বড় সুযোগ পায় কোরিয়ান তৃতীয় বিভাগের দলটি। ডিউকের বাড়িয়ে দেওয়া বলে কিম চান হিইয়ি’র নেওয়া শটটি আবাহনীর গোলকিপার শাহিদুল ডানদিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন। একইভাবে ৪২মিনিটেও পোচনের আরও একটি আক্রমণ দুর্দান্তভাবে থামিয়ে দেন শাহিদুল। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে আবাহনীর জোনাথনের ক্রস থেকে এমেকার নেওয়া দুর্দান্ত হেডটি পোচনের গোলকিপার চুঈ আন সিউং কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। এর মধ্যে দিয়ে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গতিময় ফুটবল খেলতে থাকে উভয় দল। গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে দক্ষিণ কোরিয়ার দলটি। বারবার হানা দিতে থাকে আবাহনীর ডিবক্সে। এর মধ্যেই ৫৫মিনিটে গোল তৈরির সুযোগ পেয়ে যায় দলটি। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে পার্ক জুং সু’র ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটটি আবাহনীর গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। তবে ৬১ মিনিটের মাথায় বড় একটি সুযোগ পায় আবাহনী। জোনাথনের ক্রসটি এমেকার মাথা ছুয়ে চলে যায় কামারার পায়ে। তবে তার নেওয়া শটটি গোলপোস্ট খুঁজে পায়নি।
৬৮ মিনিটে দুর্ভাগ্যভাবে পোচনের লি সিউং ও’র নেওয়া শটটি গোলবারে লেগে বাইরে চলে গেলে খেলা গোলশূন্যই থাকে। এরপর উভয়পক্ষই বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। খেলা শেষ হবার মাত্র দুমিনিট আগে আবাহনীর জীবন পা লাগাতে ব্যর্থ হন। এর ফলে ড্র’তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।
ম্যাচ শেষে ঢাকা আবাহনীর কোচ ড্রাগো মমিচ বলেন, এই ম্যাচটি আমার টিমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জিততে পারলে ভালো হতো। কিন্তু কোরিয়ান দলটি খুব ভালো। আমরা ভালো খেলেছি, ফলে ড্র করতে পেরেছি। এতেই আমরা খুশি। ’
অন্যদিকে পোচনের কোচ কিম জাঈ ইয়ং বলেন, ‘ঢাকা আবাহনী খুবই ডিফেন্সিব খেলেছে। এতে তারা সফল হয়েছে। জিততে পারলে ভালো লাগতো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
টিএইচ/টিসি