সম্প্রতি লিঁওর বিপক্ষে লিগ ম্যাচে পেনাল্টি শট নেওয়া নিয়ে মাঠেই মনোমালিন্য হয় নেইমার ও কাভানির মধ্যে। স্পট কিক কে নেবেন তাতেই যত বিপত্তি।
নেইমার ও কাভানি দু’জনই গোল পেয়েছেন। আক্রমণভাগে তাদের সঙ্গী উদীয়মান ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড কাইলিয়ান এমবাপ্পে জালের দেখা না পেলেও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। এ দু’টি গোলই আসে তার পাস থেকে। বিশ্ব ফুটবলে বর্তমানে অন্যতম সেরা আক্রমণ ত্রয়ী ভাবা হয় এদের।
বায়ার্ন কোচ কার্লো আনচেলত্তির সাবেক ক্লাবে ফেরাটা হলো হতাশাজনক। মুলার-লেভানডফস্কিদের চোখেমুখে গোলের জন্য হাহাকারই ফুটে উঠে। খেলা শুরুর দুই মিনিটেই পিএসজিকে লিড এনে দেন দানি আলভেস। স্বদেশী নেইমারের কাছ থেকে ডি-বক্সের খালি জায়গায় বল পেয়ে যান। সামনে থাকা গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে কোনো ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক।
প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে দর্শনীয় গোল উপহার দেন কাভানি। এমবাপ্পের পাস থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শট জালে পাঠিয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। ৬৩ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান নেইমার। গোলপোস্টের ডান পাশ থেকে দু’জনকে কাটিয়ে এমবাপ্পের বাড়ানো বল বায়ার্ন খেলোয়াড়ের পায়ে লাগার পর ফিনিশিং টানেন।
টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। তিন পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বায়ার্ন। ‘বি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে আন্ডারলেখটকে তাদের মাঠেই ৩-০ তে উড়িয়ে দিয়েছে সেল্টিক। বায়ার্নের সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তিন নম্বরে স্কটিশ ক্লাবটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমআরএম