ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

হোমগ্রাউন্ডে টানা চতুর্থ জয় শেখ রাসেলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৯
হোমগ্রাউন্ডে টানা চতুর্থ জয় শেখ রাসেলের হোমগ্রাউন্ডে টানা চতুর্থ জয় শেখ রাসেলের

সিলেট: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে নিজেদের মাঠে আবারো জয় তুলে নিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। সিলেটের মাঠে খেলা চারটি ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই জয়ের স্বাদ পেযেছে শেখ রাসেল।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজেদের হোমগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নফেল স্পোটিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচ খেলে ৬ টিতে জয়  এবং ২ ড্র করে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো শেখ রাসেল।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে গড়ায় শেখ রাসেল ও নফেলের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচটি। শুরু থেকেই নফেল স্পোর্টিং ক্লাবের রক্ষণভাগকে চেপে ধরে শেখ রাসেল। একের পর এক আক্রমণে মাঠ মাতিয়ে রাখে তারা। প্রথমার্ধের ৯ মিনিটে মাঠের ডান দিক থেকে সরাসরি পোস্টে লং শট নেন শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। কিন্তু গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে বল চলে যায় মাঠের বাইরে।

ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে দেন শেখ রাসেলের সিলেটী ফরোয়ার্ড বিপলু আহমদ। মাঠের ডানদিক থেকে তার দুর্দান্ত শট ডি-বক্সের মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করে। শেখ রাসেলের একাধিক খেলোয়াড় ডি-বক্সের ভেতরে থাকলেও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তারা।

খেলার ১৭ মিনিটে শেখ রাসেল ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে ফ্রি-কিক পায়। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল দ্য সিলভা এন্টোনিওর ট্রিকি শট নফেলের মানব প্রাচীর ফাঁকি দিলেও গোলরক্ষক আপেল মাহমুদের শক্ত হাতে গ্লাভস বন্দি হয় বলটি।

ম্যাচের ২৪ মিনিটে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার রাফায়েল ওডইন’র করা গোলে ১-০তে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। ডি-বক্সের ভেতর থেকে রাফায়েল দ্য সিলভা এন্টোনিওর পাসে পা ছুঁইয়ে শেখ রাসেলকে প্রথম গোল পাইয়ে দেন রাফায়েল ওডইন।

ম্যাচের ৩৭ মিনিটে আবারো ডানদিক থেকে অসাধারণ মাইনাস করে সুযোগ তৈরি করে দেন সিলেটের বিপলু। ডি-বক্সের ভেতরে বল শট নিলেও সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়। পুরো প্রথমার্ধে মাঠ মাতিয়ে রাখলেও ৪৪ মিনিটে নফেলের ডিফেন্ডারকে অবৈধভাবে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন রাফায়েল দ্য সিলভা এন্টোনিও। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে দারুণ সুযোগ তৈরি করে নফেল। তবে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে দলের বদলি খেলোয়ার মো. রোমান সুযোগটি মিস করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে নফেল স্পোর্টিং ক্লাব। রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রাও উঠে আসেন মাঝ মাঠে। এতে করে বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে পুরো খেলায় গোলের দেখা পায়নি তারা।

দ্বিতীয়ার্ধ্বে নফেলের আক্রমণ শানিত করেও ব্যর্থ হয়। তবে শেখ রাসেলও পাল্টা আক্রমণ করে। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে আবারো গোলের দেখা পায় শেখ রাসেল। সিলেটী খেলোয়াড় বিপলুর পাসে পেনাল্টি এরিয়া থেকে গোল করেন দলের উজবেকিস্তানি তারকা আজিজভ আলিশার।

৭১ মিনিটে আবারো নফেলের খেলোয়াড়কে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন শেখ রাসেলের রাফায়েল দ্য সিলভা এন্টোনিও। এক ম্যাচে দুই হলুদ কার্ড পাওয়ায় লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে।

৭৭ মিনিটে আবারো সুন্দর সুযোগ পায় শেখ রাসেল। আরো একটি গোল এ ম্যাচে দিতে পারলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠার সুযোগ ছিল তাদের। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় সোহেল রানার শট ফিরিয়ে দেন নফেলের গোলরক্ষক আপেল মাহমুদ। কিন্তু বল ফেরত আসে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলদাতা আজিজভ আলিশারের পায়ে। গোলপোস্ট অনেকটা ফাঁকা পেলেও এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।

খেলার শেষ মুহূর্তে নফেলের পুরো দল হানা দেয় শেখ রাসেলের রক্ষণভাগে। কিন্তু আক্রমণ শানিত করেও গোলের দেখা পায়নি বরং ২ গোল হজম করেই মাঠ ছাড়েন নফেল খেলোয়াড়রা। আর নিজেদের মাঠে চতুর্থবারের মতো জয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এনইউ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।