১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের পর নিজেদের মুকুটে অার কোনো ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের পালক যুক্ত করতে পারেনি আয়াক্স। প্রতি মৌসুমে যথারীতি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেললেও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।
ডেলে ব্লাইন্ড, দুসান টাডিচ, ফ্রাঙ্কি ডি জংদের হাত ধরে নতুন রূপকথা লিখেছে আয়াক্স। শেষ চারে উঠার মিশনে তারাই গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইতালিয়ান পরাশক্তি জুভেন্টাসের স্বপ্ন। প্রথম লেগে ১-১ ব্যবধানে ড্র করার পর ফিরতি লেগে জুভেন্টাসের মাঠে অায়াক্স ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে রোনালদো- দিবালাদের।
গত তিন আসরের হ্যাটট্রিক ও রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের স্বপ্নও ধুলিসাৎ করে শেষ আটে উঠেছিল আয়াক্স। মঙ্গলবার (৩০ মে) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায় ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে আয়াক্স মুখোমুখি হবে টটেনহামের। সেমির প্রথম লেগ হবে স্পার্সদের নতুন মাঠ টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে।
ইউরোপ ফুটবলে সমীহ জাগানিয়া দল হলেও আয়াক্সের মতো সফলতা নেই টটেনহামের। নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম তারা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠার সামনে দাঁড়িয়ে। স্পার্সরা শেষ আটে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির মতো পরাশক্তির স্বপ্ন। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে জয়ের পর স্পার্সরা ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নাটকীয় ফিরতি লেগে হেরে যায় ৪-৩ গোলে। তবে অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে এগিয়ে থেকে ইতিহাস লিখে টটেনহাম।
সিটিকে হারিয়ে দেওয়া ম্যাচে জোড়া গোলসহ দুই লেগে তিন গোল করেছেন সং হিয়ুং মিন। আজকেও পচেত্তিনোর মূল খেলোয়াড় হতে পারেন এই দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড। এছাড়া চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেন স্পার্সদের ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। সং হিয়ুং এবং কেনের সঙ্গে ফার্নান্দো লরেন্তেকে নিয়ে আজ আক্রমণভাগ সাজাতে পারেন পচেত্তিনো।
অন্যদিকে ভয়ডরহীনভাবে এগিয়ে চলা আয়াক্সের একমাত্র সাহস এখন নিজেদের আস্থা। সেই আস্থার জোরেই তারা রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসকে হারিয়েছে। আয়াক্স কোচ অবশ্য টটেনহামের বিপক্ষেও অপরিবর্তিত একাদশ রাখতে চান।
কিন্তু একটি জায়গায় ইতিহাস পক্ষে নেই আয়াক্সের। টটেনহামের বিপক্ষে গত দুইবারের সাক্ষাতে প্রত্যেকবার হেরেছে তারা। আজ সেই ব্যবধান ঘুচাতে পারবে তো আয়াক্সের নতুন সোনালি প্রজন্ম?
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমএইচএম