২০০৪ সালে যখন বার্সার খেলোয়াড় তৈরির কারখানা ‘লা মেসিয়া’ থেকে সিনিয়র দলে সুযোগ পান, মেসির বয়স তখন মাত্র ২১। রোনালদিনহো, স্যামুয়েল ইতো আর থিয়েরি অঁরি’র রিজার্ভ হিসেবে দলে সুযোগ পান মেসি।
কিন্তু সাবেক বার্সা ও বর্তমান ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা ২০০৮ সালে ক্যাম্প ন্যু’র দায়িত্ব নিয়েই ব্রাজিলিয়ান ও পর্তুগিজ তারকাকে বেচে দেন। রোনালদিনহোর ঠিকানা হয় এসি মিলানে আর ডেকোর চেলসিতে। কিংবদন্তি কোচ ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ডের কাছ থেকে গার্দিওলা দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার ওই মৌসুমেই আর্সেনাল থেকে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডে বার্সায় যোগ দেন হ্লেব।
একই দলের খেলোয়াড় হওয়ায় রোনালদিনহো ও ডেকো সম্পর্কে বেশ ভালোই জানা ছিল হ্লেবের। সেই স্মৃতি হাতড়ে ‘ভি ওকা টিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রোনালদিনহো এবং ডেকো প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় অনুশীলনে অংশ নিতো। এজন্যই তাদের দুজনকে ২০০৮ সালে বেচে দেওয়া হয়। কারণে তারা (বার্সা কর্তৃপক্ষ) ভয় পেত যে এই দুজন হয়ত মেসিকেও তাদের পর্যায়ে নামিয়ে আনবে। '
বার্সার হয়ে ৪ বছর খেলেছেন হ্লেব। যোগ দেওয়ার মৌসুমেই ট্রেবল জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। তবে সবমিলিয়ে বার্সার জার্সিতে মাত্র ৩৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় তার। এরপর ২০১২ সালে রাশিয়ান ক্লাব ক্রাইলিয়া সোভেতভ সামারায় যোগ দেওয়ার আগে তাকে অধিকাংশ সময় ধারে স্টুটগার্ড, বার্মিংহাম এবং উলভসবুর্গের মতো ক্লাবে কাটাতে হয়েছে। এরপর বাতে বরিসভেও খেলেছেন।
কিন্তু বেলারুশের জাতীয় দলের এই খেলোয়াড় জানালেন তিনি নাকি বার্সাকে নিজের প্রথম পছন্দ মনে করেননি। তিনি বরং বায়ার্ন মিউনিখে যেতে আগ্রহী ছিলেন। আর্সেনালে থেকে যাওয়ার ইচ্ছেও ছিল তার।
হ্লেব বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি শুরুতে বার্সায় যেতে চাইনি। আমি বায়ার্নে যেতে কিংবা আর্সেনালেই থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এজেন্টরা গার্দিওলার ডাকে সাড়া দিতে বলেছিলেন। '
৩৮ বছর বয়সী হ্লেব এখনও ফুটবল থেকে অবসর নেননি। তবে বাতে বরিসভ ছেড়ে দেওয়ায় আপাতত তিনি ক্লাববিহীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এমএইচএম