আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ক্লাবহীন ছিলেন লুইস সুয়ারেস। ইউরোপের বড় কোনো ক্লাব তাকে নিতেও রাজি হচ্ছিল না।
গতকাল বৃহস্পতিবার নাসিওনালের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন সুয়ারেস। চুক্তির মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও উরুগুয়ের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পাঁচ মাসের জন্য শৈশবের ক্লাবে ফিরেছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। মূলত কাতার বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করেই পুরনো ঠিকানায় ফিরেছেন ৩৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। নাসিওনালের জার্সি গায়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব আতলেতিকো গোয়ইনিয়েসের বিপক্ষে কোপা সুদামেরিকানাতে তার অভিষেক হবে।
উরুগুয়ের শীর্ষ লিগ প্রিমেরা ডিভিশনের বর্তমান রানার্স-আপ নাসিওনালের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই যোগাযোগ চলছিল সুয়ারেসের। এই খবরে ক্লাবটির সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এমনকি সম্প্রতি ক্লাবটির এক ম্যাচে প্রায় ২০ হাজার সমর্থক 'সুয়ারেস মাস্ক' পরে গ্যালারিতে হাজির হন।
চুক্তি স্বাক্ষরের খবর নিশ্চিত হতেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্লাবটির সমর্থকদের উদ্দেশে সুয়ারেস লিখেছেন, 'আবারও নাসিওনালের জার্সি পরতে পেরে আমি গর্বিত। আমাকে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। শিগগিরই দেখা হচ্ছে। '
২০০৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে নাসিওনালের জার্সিতে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন সুয়ারেস। অভিষেক মৌসুমেই ক্লাবটির জার্সিতে ২৭ ম্যাচে ১০ গোল করেন তিনি। সেবার লিগের শিরোপাও ঘরে তোলে ক্লাবটি। পরের মৌসুমেই ইউরোপ থেকে ডাক আসে তার; যোগ দেন ডাচ ক্লাব গ্রোনিংজেনে। এর এক মৌসুম পরেই তিনি পাড়ি জমান ডাচ জায়ান্ট আয়াক্সে।
২০১১ সালে আয়াক্স থেকে লিভারপুলে পাড়ি জমান সুয়ারেস। প্রিমিয়ার লিগে খেলার পর ৮০ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনায় যোগ দেন। কাতালান জায়ান্টদের হয়ে তিনি চারটি লা লিগা ও ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতার স্বাদ পান। ২০২১ সালে আবারো আতলেতিকোর জার্সি গায়ে লা লিগা শিরোপা জয় করেছিলেন তিনি। ওই মৌসুমে ৩২ ম্যাচে ২১ গোল করেন তিনি।
সুয়ারেস উরুগুয়ের জাতীয় দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৩২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ১৩২টি। কাতারে তার পারফরম্যান্সের ওপর সাফল্য নির্ভর করবে উরুগুয়ের। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে তিনিও হয়তো বিশেষ কিছুই করতে চাইবেন। তাইতো 'ঘরে' ফিরে গেলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
এমএইচএম