ঢাকা: আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রয়োজনে যুদ্ধ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম।
তিনি বলেন, আমরা অপ্রয়োজনে অনেক খাতেই খরচ করি, অথচ গ্রামে একটি হাসপাতাল করতে অর্থ দিতে পারি না।
রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতে প্রয়োজন ভিত্তিক সম্পদ বণ্টন বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় বাজেট নিয়ে যুদ্ধ করেছি। এবারও করব। প্রয়োজনে প্রতিমন্ত্রী, সচিবকে নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো। উনি কেন দিবেন না? আমি তো জনগণের সেবার জন্যে অর্থ চাইবো।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলংকায় কতো টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ থাকে, সেটিও বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, অনেক অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ অপচয় হচ্ছে। তাহলে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি হাসপাতাল করতে চাইলে অর্থ পাবো না কেন!
তিনি বলেন, আমরা আর দানের উপর নির্ভর করবো না। আমাদের নিজেদেরকেই অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। যেসব খাতে অপ্রয়োজনীয় অর্থ অপচয় হয়, প্রয়োজনে সেখান থেকে কাটছাঁট করে স্বাস্থ্যখাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রীরা কৃপণ হয়। তবে আমি স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করবো।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে সিভিল সার্জনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, এবার আর কোনো বদলী হবে না। গ্রামে অবশ্যই চিকিৎসকদের থাকতে হবে।
তিনি সিভিল সার্জনদের ঢাকায় এসে প্রতি তিন মাস পর মিটিংয়ে মিলিত হওয়ার পরামর্শ দেন।
জেলা পর্যায়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনীতিবিদদের চাপ থাকে বলে অভিযোগ করেন সিভিল সার্জনরা। এ প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জেলায় চিকিৎসা খাতের সর্বোচ্চ ব্যাক্তি। কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না। অন্তত আমি যতক্ষন মন্ত্রী আছি, কাউকে ভয় পাবেন না। আমি দেখবো কত বড় শক্তি আছে।
স্বাস্থ্য সচিব এম এম সিরাজুদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খন্দকার মো. শেফায়েতউল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪, আপডেট ২০২৮ ঘণ্টা