ঢাকা: সোমবার দেশে প্রথমবারের মতো বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) শুরু হয়েছে। এদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে অবস্থিত দেশের এ ধরনের একমাত্র ট্রান্টপ্লান্ট কেন্দ্রে ৫২ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে এটি প্রতিস্থাপন করা হয়।
আর এর মাধ্যমে ইতিহাসের অংশ হলেন এ রোগী।
সোমবার বিকাল ৩টায় ঢামেক নতুন ভবনের তয় তলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্যসচিব এসএম নিয়াজউদ্দীন, ঢামেকের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ খানসহ সিনিয়র চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেডিকেলের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ খান বলেন, এর মাধ্যমে ৯০ ভাগ রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার আশা করছি।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গরীর ও হতদরিদ্রদের বিনামূল্যে এ চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এমন কি দেশের সব রোগীদেরই বিনামূল্যে এ চিকিৎসা দেওয়া যায় কী না তাও বিবেচনা করবে সরকার।
ঢামেক সূত্র জানায়, গত শনিবার থেকে রোগীর দেহে হাড়ের অভ্যন্তরের বিষাক্ত কোষগুলো ধ্বংস করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন (হাইডোজ) কেমোথেরাপি দেওয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে দাতার প্রয়োজন হচ্ছে না। গত অক্টোবর মাসে একই রোগীর দেহ থেকে সুস্থ স্টেমসেল সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অগ্রগতিতে এই প্রতিস্থাপন একটি মাইলফলক। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ক্যান্সার, রক্তরোগ, থেলাসিমিয়াসহ আরও অনেক দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা মেডিকেলে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট কেন্দ্র উদ্বোধন করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক। ওই সময় ট্রান্সপ্লান্ট শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
তবে কোটি টাকা মূল্যের একটি মেশিন হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ায় প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করা যায়নি। এরপর কয়েক মাস প্রতিস্থাপনে এগোতে পারেনি ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এবার প্রতিস্থাপন শুরু হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৪