ঢাকা: গ্লুকোজ ও চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি খাবার স্যালাইন উত্পাদন ও ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিডিডিআরবি বলেছে, নিয়মিত খাবার স্যালাইন সরবরাহকারী স্টাফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির কাছ থেকে পাওয়া গ্লুকোজ ও চালের গুঁড়ো দিয়ে উৎপাদিত খাবার স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য এর হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে আইসিডিডিআরবি।
আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র কমিউনিকেশন ম্যানেজার নাসমিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্টাফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান যেটি আইসিডিডিআরবি’র কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিডিডিআরবি’র ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৯৮২ সালের ওষুধ আইনের অধীনে খাবার স্যালাইন নিয়ন্ত্রণ করা ঔষধ প্রশাসন এর মহাপরিচালকের বরাবর হতে রেজিস্ট্রেশন না হওয়া পর্যন্ত এ স্বিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
আইসিডিডিআরবি’র ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর জন ডি ক্লেমেন্স বলেন, কো-অপারেটিভ সোসাইটির উৎপাদিত খাবার স্যালাইনের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। তবে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন সরবরাহকারীর কাছ থেকে খাকার স্যালাইন সরবরাহ করবো।
স্টাফ-কো অপারেটিভ এর চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার হোসেন আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষের স্বিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের কো-অপারেটিভ সোসাইটি সকল ধরনের খাবার স্যালাইনের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে এবং আমরা রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, এই সময়ে রোগীদের সেবা প্রদান বাধাগ্রস্থ হবে না।
আইসিডিডিআর,বি (প্রাক্তন কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি) ষাটের দশকের শেষ দিকে খাবার স্যালাইনের উদ্ভাবন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৪