ঢাকা: রাজধানীর বেসরকারি নামী হাসপাতালগুলোতে অবৈধ ওষুধ দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা হয় এসব ওষুধ।
তাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নামী সাতটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালায়। অভিযানে প্রায় ৩০ লাখ টাকার অবৈধ বিদেশি ওষুধ জব্দ করা হয়।
হাসপাতাল এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অভিযান অবৈধ ওষুধ উদ্ধারের বিষয়টি গোপন রাখে। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আবুল খায়ের চৌধুরী রোববার সন্ধ্যায় অবৈধ ওষুধ উদ্ধারের এ কথা বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতাল, ইউনাইটেড হসপিটাল, হেলথ এন্ড হোপ, সমরিতা হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, ল্যাব এইড হাসপাতাল এবং সেন্ট্রাল হসপিটাল থেকে এসব ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।
মূলত এসব হাসপাতাল থেকে বিদেশি ইনজেকটেবল ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। ওষুধগুলোর বেশিরভাগই ভারতে তৈরি। কিছু পাকিস্তানি ওষুধও রয়েছে। সবমিলিয়ে ৩০ লাখ টাকার ওষুধ জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আবুল খায়ের জানান, মুমূর্ষু রোগীকে ভেন্টিলেশন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এসব ওষুধ দেওয়া হয়। ক্যান্সার রোগীদের খাদ্যে ভারসাম্য রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়--এমন কিছু ওষুধও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, প্রচলিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বিদেশ থেকে ওষুধ আনার ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু, এই হাসপাতালগুলো অধিদপ্তরকে না জানিয়েই অবৈধভাবে বিদেশ থেকে এসব ওষুধ এনেছে।
আবুল খায়ের আরো বলেন, জব্দ করা ওষুধের পূর্ণ তালিকা এখনো তৈরি করা হয়নি। তালিকা তৈরি হলেই বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, এসব ওষুধ আমাদের দেশে উৎপন্ন হয় না। তবে এগুলোর মধ্যে কয়েকটি রয়েছে জীবন রক্ষাকারী। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল অধিদপ্তরকে অবহিত করা।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৪