ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নাইটিংগেল মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অন্যত্র স্থানান্তর চান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৬
নাইটিংগেল মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অন্যত্র স্থানান্তর চান ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষক না থাকায় আশুলিয়ার বেসরকারি নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় অন্য মেডিকেল কলেজে স্থানাস্তরের দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে কলেজটির শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।



মানববন্ধনে কলেজটির প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজটিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনো অনুমোদন নেই। এখানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, একাডেমিক কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে, নেই নূন্যতম সংখ্যক শিক্ষক।

তারা জানান, কলেজটিতে বায়কেমিস্ট, ইএনটি, অ্যানেস্থেসিয়ালোজি, ইমেজিংয়ের মতো বিভাগগুলো সম্পূর্ণ শূন্য। ল্যাব টেকনেশিয়ান, পর্যাপ্ত গ্যালারি, শিক্ষা উপযোগী সুযোগ-সুবিধা নেই।  হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে রোগীর সংখ্য নগণ্য। অ্যাম্বুলেন্স, অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, এনআইসিইউ, ল্যাপারোস্কোপি, এন্ডোস্কপি, ইমেজিং মেশিন, সিটিস্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই।

শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম, মাহবুবা জান্নাত, তুষার আহমেদ ও আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কলেজটিতে প্রায় সাড়ে তিনশো শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী। ভর্তির সময় প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ভর্তির পর দেখা যায়, সেখানে নেই শিক্ষক ও মেডিকেল শিক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ।

কলেজটির সপ্তম ব্যাচের (ফাইনাল/সেশন ২০১১-১২) শিক্ষার্থী আশরাফুজ্জামান বলেন, নিবন্ধন না থাকায় আমরা পাশ করে কোথাও শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হয়ে কাজ করতে পারবো না। যে কারণে আমাদের কারও চিকিৎসা পেশায় যাওয়ার সুযোগ নেই।

আরেক শিক্ষার্থী শাহরিন সুলতানা বলেন, ২০১১-১২ সেশনে ভর্তির সময় আমারর কাছ থেকে এক কালীন ১১ লাখ টাকা নিয়েছে। গত সেশনে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তারা ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। আবার ছয় মাস পর পর ৬০ হাজার টাকা সেশন ফি ও তিন মাস পর পর বেতন বাবদ আরও ৩৩ হাজার টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। কিন্তু সেখানে পড়াশোনা হয় না।

তাদেরকে অন্যকোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজে স্থানাস্তর করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
টিএইচ/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।