ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে লোকবল বৃদ্ধি, স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ও রেফারেল পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রসবসেবায় বাড়তে পারে সচেতনতা।
এক গবেষণা চালিয়ে এ কথা জানিয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইউনিয়ন পরিষদের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা প্রসবসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে গবেষণাটি চালানো হয়। তিন বছর আগে চট্টগ্রাম ও মুন্সিগঞ্জের ইউপি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে জনবল বাড়ানো হয়, বাড়ানো হয় স্থানীয় লোকদের অংশগ্রহণ। আর প্রয়োগ করা হয় রেফারেল পদ্ধতি।
তিন বছর পর নভেম্বরে এসে দেখা যায়, আগে যেখানে এ সেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা ছিল মাত্র ৬ শতাংশ, এখন সেটা ৪০ শতাংশ। আর মুন্সিগঞ্জে যেখানে এ সেবা সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা ছিল শূন্য শতাংশ, তা বেড়েছে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। গবেষণাটি বেসরকারি সংস্থা পপুলেশন কাউন্সিল ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) আর্থিক সহায়তায় চালানো হয়।
পপুলেশন কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গবেষণা প্রকল্পের প্রধান ড. ওবায়দুর রবের নেতৃত্বে ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, ওই কেন্দ্রগুলোতে জনসচেতনতা বেড়ে যাওয়ার ফলে নারীদের প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবাগ্রহণ এবং সেবাকেন্দ্রে গিয়ে সন্তানপ্রসব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে ১৫ হাজার ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র এক পঞ্চমাংশ ইউপি স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বাভাবিক প্রসবসেবা দিয়ে থাকে। এই সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই গবেষণাটি চালানো হয়।
গবেষকরা আশা প্রকাশ করেন, প্রাপ্ত ফলাফল বিবেচনায় নিয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টা স্বাভাবিক প্রসবসেবা এবং নবজাতকের সেবা প্রদানের একটি কাযর্কর নীতিমালা তৈরি করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এসএ/এইচএ/