ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ওষুধ প্রশাসনকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
ওষুধ প্রশাসনকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম ছবি: দীপু মালাকার

মেডিকেল ডিভাইস রেজিস্ট্রেশন গাইড লাইন-২০১৫ বাতিল, মেডিকেল ডিভাইস ও সার্জিক্যাল ম্যাটেরিয়াল আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে ওষুধ প্রশাসনকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা: মেডিকেল ডিভাইস রেজিস্ট্রেশন গাইড লাইন-২০১৫ বাতিল, মেডিকেল ডিভাইস ও সার্জিক্যাল ম্যাটেরিয়াল আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে ওষুধ প্রশাসনকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মেডিকেল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

সংগঠনের ঢাকা জেলা শাখা সভাপতি মো. জাভেদ আহমেদ বলেন, মেডিকেল ডিভাইস ও সার্জিক্যাল ম্যাটেরিয়াল বাংলাদেশে ১ শতাংশ তৈরি হয় না। আমরা ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০ অনুযায়ী বহু বছর ধরে চীন, ভারত, জার্মানি, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, জাপান থেকে এসব পণ্য আমদানি করি। এতে রোগীরা অত্যন্ত কম মূল্যে এসব পণ্য পেয়ে থাকেন। সাথে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পায়।

তিনি বলেন, মেডিকেল ডিভাইস ও সার্জিক্যাল এসব পণ্য আমদানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে আমদানি করা হয়। সম্প্রতি ওষ‍ুধ প্রশাসন আমাদের সাথে আলোচনা না করেই ভারতের একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে মেডিকেল ডিভাইস গাইড লাইন, ২০১৫ নামে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে যা এখনও অনুমোদন হয়নি। এতে প্রায় ৪ হাজার মেডিকেল ডিভাইস ও সার্জিক্যাল পণ্যকে ওষুধ হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং এসব পণ্য আমদানিপূর্বক ওষুধ প্রশাসন থেকে রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার বিধান করা হয়।

নীতিমালা অনুমোদন, গেজেট প্রকাশের আগেই ওষুধ প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছে। প্রতিষ্ঠান সিলগালা করছে, নির্দেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে কোটি কোটি টাকার পণ্য আটকে রাখছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মো. জাভেদ আহমেদ আরও অভিযোগ করেন, এসব পণ্য শরীরের ভেতরে নয় বাইরে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের কোনো দেশে শরীরের বাইরে ব্যবহৃত পণ্য ওষুধ হিসেবে গণ্য হয় না। বাংলাদেশের ৪ থেকে ৫টি কোম্পানি এসব পণ্যের সামান্য অংশ উৎপাদন করে। যার আমদানি পণ্যের চেয়ে তিনগুণ দাম বেশি। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে হুমকি, রোগীদের দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করতে ওষুধ প্রশাসন এ চক্রান্ত করছে।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওষুধ প্রশাসন এ গাইড লাইন বাতিল, হয়রানি বন্ধ ও পণ্য ছাড় না দিলে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) থেকে প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে মেডিকেল পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন বাংলাদেশ মেডিকেল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঢাকা শাখার সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম, বিএমএ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সামছুল হুদা, সিনিয়র সহ সভাপতি জহির আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক জাফর আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
আরইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।