স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব প্যাথলজিস্টের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান ২০০১ সাল থেকে বিএসএমএমইউ’র বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে অধ্যাপক ও বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ সাল থেকে বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এসব পদে দায়িত্ব পালনের সুবাদে অফিস কক্ষ হিসেবে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের একটি কক্ষ এবং ডিন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের তিন তলায় দুটি কক্ষ বরাদ্দ পান ডা. ইকবাল আর্সলান। চলতি বছরের জুন মাসে বিএসএমএমইউ থেকে অবসরে যান এই অধ্যাপক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার বলে তিনি এখনও কক্ষ ছাড়েননি। নিয়মবহির্ভূতভাবে অফিস কক্ষ আটকে রেখেছেন তিনি।
গত শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউ’র পক্ষ থেকে অবসরপ্রাপ্তদের বিদায়ী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানকেও বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সোমবার (০৩ আগস্ট) বিএসএমএমইউতে গিয়ে দেখা গেছে ডিন হিসেবে তার কক্ষের সামনে সাইনবোর্ড ঝুলছে। এছাড়া বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে অবসরপ্রাপ্ত এই চিকিৎসকের কার্যালয়ের উপস্থিতিও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানের সহকর্মী তথা একাধিক অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান ও চিকিৎসক সংগঠনের নেতা হওয়ার কারণে কেউ তাকে কিছু বলতে পারছেন না। এসব কক্ষে তিনি রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করেন। কক্ষ ছেড়ে দিলে চিকিৎসক নেতা হিসেবে তার ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
ডা. ইকবাল আর্সলানের অফিস কক্ষ দখল করে রাখায় তার ওই পদে নতুন স্থলাভিষিক্ত চিকিৎসক কক্ষ পাচ্ছেন না। সবচেয়ে বড় কথা এটা নিয়মবহির্ভূত বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এটা নিয়মবহির্ভূত, কিন্তু আমি বিষয়টা সম্পর্কে জানতাম না। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ