বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন রক্তদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদপুরে অবস্থিত রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটির ইনচার্জ ডা. জাহিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেড়েছে রক্তের চাহিদা।
তিনি বলেন, ঈদের আগেই যদি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা না কমে, তাহলে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেলে রক্তদাতার অভাবে প্লাটিলেটের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। কারণ, ছুটিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত সব বন্ধ হয়ে যাবে। আবার, অনেকেই বাড়ি যাওয়ার আগে রক্ত দিতে চাইবে না।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে প্লাটিলেট কমে যায়। রক্তে প্লাটিলেট ২০ হাজারের কম হলেই রোগীকে বাড়তি প্লাটিলেট দিতে হয়।
স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন ‘বাঁধন’ও জানায়, হঠাৎ করেই রক্তের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জুনাহিদ চকদার বাংলানিউজকে বলেন, গতবারের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে রক্তের চাহিদা। নিয়মিত রক্তদাতার পাশাপাশি যারা মাঝে-মধ্যে রক্ত দেন, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন করবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে রক্তদানে উৎসাহিত করবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
আরকেআর/একে