এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে ৪২ জনের। সবমিলিয়ে ফেনীতে এ পর্যন্ত মোট ২৭৭ জনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফেনী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার তাহসিন নূর অমি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিমান বন্দরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় এ র্পযন্ত ৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি প্রবাসী ফিরেছেন। বাকিদের কোনো তথ্য না থাকায় তাদের হোম কোয়রেন্টিনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। ইমিগ্রেশন থেকে যে তথ্য দেয়া হয়েছে, সে ঠিকানা অনুযায়ী তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না।
কোয়ারেন্টিনে থাকা সবাইকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সাদা পোশাকেও পুলিশ কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করছে। এর বাইরে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়াম্যান-মেম্বারদেরও তাদের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের যথাযথভাবে হোম কোয়ারেন্টিন মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশনা মানবেনা না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনের সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত ফেনীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানকার জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রবাসফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন পালনে বাধ্য করা হচ্ছে।
এদিকে করোনা ঠেকাতে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিতে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। তারা বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ও জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এসএইচডি/এইচজে