সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ট্রেড সেন্টার ও হলগুলো পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডা. শফিউর বলেন, এখানে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য যত ধরনের উপকরণ ও জনশক্তি প্রয়োজন সবগুলো আমাদের রয়েছে।
কতগুলো বেড ও কতদিনে হাসপাতালে রূপান্তর করা সম্ভব- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রকৌশলীদের মতামত নিতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষও এসব হল পরিদর্শন করবেন। অর্থায়নের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বসুন্ধরা গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে।
বসুন্ধরা গ্রুপের এই মহতী উদ্যোগের বিষয়ে ডা. শফিউর বলেন, দেশের মানুষের বিপদে প্রত্যেক মানুষের এগিয়ে আসা উচিত। বসুন্ধরা গ্রুপ সেই উদারতা ও মহানুভবতা দেখিয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো সবাই এগিয়ে এলে দেশের করোনা ভাইরাস সঙ্কট মোকাবিলা করা সহজ হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে সাধুবাদ জানাই। আইসিসিবিকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বুয়েট অ্যালামনাই ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও যৌথভাবে কাজ করছে।
হাসপাতালের বিষয়ে ডা. শফিউর বলেন, এখানে হাসপাতাল হলে কতগুলো বেড, আইসোলেশন বেড ও আইসিইউ করা যাবে তার সম্ভাব্যতা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আশা করছি দেড় লাখ বর্গফুটের ট্রেড সেন্টারে আড়াই হাজার আইসোলেশন বেড করা সম্ভব। চারটি কনভেশন হলের একটিতে আইসিইউ ও তিনটাকে হসপিটালে রূপান্তরিত করা যাবে। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবো। তারা মূল্যায়ন করে পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেবেন।
স্বাস্থ্য অধিপ্তরের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন- প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালক ডা. ইউনুস আলী ও সহকারী পরিচালক ডা. জয়নাল আবেদীন।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চিফ কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ গোলাম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) হাসপাতাল তৈরি ও সেবা দিতে যত ধরনের সহায়তা সরকার চাইবে, সবগুলোই দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এমএম জসীম উদ্দিন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই মোতাবেক কনভেনশন সিটির সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দলকে দেখিয়েছি। আমাদের পূর্ণাঙ্গ লজিস্টিক আছে। উনারা চাইলে একসঙ্গে পুরোটাতে কিংবা ধাপে ধাপেও কাজ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পেরেছি এখানে ৫ হাজারের কম বা বেশি বেডের হাসপাতাল তৈরি করা যাবে। সরকারের সঙ্গে আমরা একটু সাপোর্ট করলে তা হয়ে যাবে। লজিস্টিক সাপোর্টের বাইরে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য অর্থায়ন ও অন্যান্য সহায়তা সরকার যেভাবে চাইবে সেভাবে দেওয়া হবে।
সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন- ১২ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের লে. কর্নেল মোহাম্মদ বদরুল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আইসিসিবির হলগুলো পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মো. আরিফুল হক সোহান ও এসএম ফয়সাল।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এসই/এমএ