মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটসহ অফিসিয়াল প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিকেল ৫টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভর্তির সময় পরিবারের সদস্যরা জানিয়ে ছিলেন, ওই যুবক বিদেশফেরত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন না। আর সম্প্রতিকালে তার ভ্রমণেরও কোনো ইতিহাস নেই।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রামেক হাসপাতালের করোনা চিকিৎসক টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আযাদ বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতলের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে (করোনা ওয়ার্ড) ভর্তি হয়।
ভর্তি করার পর তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই যুবকের জ্বর বা সর্দি-কাশি ছিলো না, শুধুমাত্র শ্বাসকষ্ট ছিল।
ডা. আজিজুল হক আযাদ আরও জানান, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক দ্রুত রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করায় তার নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। সেজন্য ওই রোগী করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, রামেক হাসপাতালের রেকর্ড খাতায় ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ লেখা রয়েছে- 'Severe Bronchial Asthma' (মারাত্মক শ্বাসনালীর হাঁপানি)।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০/আপডেট: ২৩৫০ ঘণ্টা
এসএস/আরআইএস/আরএ