রাজধানীর ৪৮টি এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারমধ্যে মিরপুর অঞ্চল, পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর ও বাসাবো এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিতে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
আইইডিসিআরের সর্বশেষ তথ্য মতে, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এলাকাগুলো হলো- আদাবর, মোহাম্মদপুর, বসিলা, ধানমন্ডি, জিগাতলা, সেন্ট্রাল রোড, গ্রিন রোড, শাহবাগ, বুয়েট এলাকা, হাজারীবাগ, উর্দু রোড, চকবাজার, লালবাগ, বাবুবাজার, ইসলামপুর, লক্ষ্মীবাজার, নারিন্দা, সোয়ারীঘাট, ওয়ারী, কোতোয়ালি, বংশাল, যাত্রাবাড়ী, পুরানা পল্টন, ইস্কাটন, বেইলি রোড, মগবাজার, বাসাবো, রামপুরা, শাজাহানপুর, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, আশকোনা, উত্তরা, গুলশান, মহাখালী, তেজগাঁও, কাজীপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর, মিরপুর ১১ নম্বর, মিরপুর ১৩ নম্বর, মিরপুর ১ নম্বর, শাহ আলীবাগ, পীরেরবাগ, টোলারবাগ এবং উত্তর টোলারবাগ।
আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, যেসব এলাকায় পাঁচের অধিক রোগী সেসব এলাকায় ক্লাস্টারভুক্ত কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। আর ঢাকার ১০ এর অধিক এলাকায় পাঁচের অধিক রোগী রয়েছে। এসব এলাকায় ক্লাস্টার আকারে রোগী ছড়াচ্ছে।
আইইডিসিআর এর তথ্য অনুসারে, রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মধ্যে আদাবরে একজন, মোহাম্মদপুরে ছয়জন, বসিলায় একজন, ধানমন্ডিতে নয়জন, জিগাতলায় তিনজন, সেন্ট্রাল রোডে একজন, গ্রিন রোডে দুইজন, শাহবাগে একজন, বুয়েট এলাকায় একজন, হাজারীবাগে একজন, উর্দু রোডে একজন, চকবাজারে দুইজন, লালবাগে পাঁচজন, বাবুবাজারে দুইজন, ইসলামপুরে দুইজন, লক্ষ্মীবাজারে একজন, নারিন্দায় একজন, সোয়ারীঘাটে তিনজন, ওয়ারীতে নয়জন, কোতোয়ালিতে একজন, বংশালে একজন, যাত্রাবাড়ীতে পাঁচজন, পুরানা পল্টনে দুইজন, ইস্কাটনে একজন, বেইলি রোডে একজন, মগবাজারে একজন, বাসাবোতে নয়জন, রামপুরায় একজন, শাজাহানপুরে একজন, বাড্ডায় একজন, নিকুঞ্জে একজন, আশকোনায় একজন, উত্তরায় পাঁচজন, গুলশানে ছয়জন, মহাখালীতে একজন, তেজগাঁওয়ে দুইজন, কাজীপাড়ায় একজন, মিরপুর ১০ নম্বরে দুইজন, মিরপুর ১১ নম্বরে দুইজন, মিরপুর ১৩ নম্বরে একজন, মিরপুর ১ নম্বরে আটজন, শাহ আলীবাগে দুইজন, পীরেরবাগে দুইজন, টোলারবাগে চারজন ও উত্তর টোলারবাগে ছয়জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২১৮ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৮১টি। মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৬৪টি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২০
পিএস/আরআইএস