মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিএসএমএমইউর সেকশন অফিসার (জনসংযোগ) প্রশান্ত কুমার মজুমদার এক প্রেসবিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞতিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে এ বছর শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আয়োজনের মাধ্যমে এবং ‘মানব শত্রু ভাইরাস করোনা, এই যুদ্ধে বাংলাদেশ হারবে না’ অঙ্গীকার নিয়ে উদযাপিত হবে দিবসটি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা জয়ী হয়েছিলাম, ঠিক তেমনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমরা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। এই যুদ্ধে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সেবাকর্মীরা হচ্ছেন অগ্রবর্তী বাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো জাতি আমাদের সঙ্গে আছে। এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টে (পিপিই) সজ্জিত হয়ে আমাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানবিকতা নিয়ে রোগীদের পাশে দাঁড়াবো। করোনা আক্রান্ত রোগীরা আমাদের কারো না কারোর আপনজন, এই কথা স্মরণে রেখে এবং তাদের এই বিপদে আমরা চিকিৎসক সমাজ দূরে না থেকে রোগীদের সেবা দিয়ে যাবো। মহান সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আমাদের সহায় থাকবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০-এ এটাই আমার মূল বক্তব্য।
উপাচার্য বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় শাহবাগের বেতার ভবনে ফিভার ক্লিনিক চালু, করোনা ভাইরাস ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা, দ্রুততার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন ও বিভিন্ন বিভাগের হেল্প লাইনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা চালু, জরুরি বিভাগসমূহের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং বাস্তবসস্মত ও যৌক্তিক পর্যায়ে বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু রাখাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা তুলে ধরেন। কোভিড-১৯-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গবেষণার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান।
তিনি বলেন, উচ্চতর গবেষণাসহ জনগণকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি মডেল প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের রোগীদের আস্থার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসা সেবাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সংশ্লিষ্ট সবার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সঙ্গে সঙ্গে সব শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন।
এতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং বি-ব্লকের সামনে গোলচত্বর জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
পিএস/এএটি