সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাতে পাওয়া পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এক টিএসআই এবং সাত কনস্টেবল ও তাদের একজনের পরিবারের দুই সদস্যের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলছে।
তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১০ হাজার ৮১৬ জনকে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৭২২ জন এবং এ পর্যন্ত ৬৫৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ছয় জেলায় ১৫৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং ১৩১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় এ সময়ের মধ্যে ১১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। শুধু বরগুনা জেলায় চারজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৩৪৩ এবং তাদের মধ্যে ২১৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৭১, পটুয়াখালীতে ৩২, ভোলায় ১০, পিরোজপুরে ২৭, বরগুনায় ৪০ ও ঝালকাঠিতে ১৮ জন করোনা ভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল জেলায় ৩৫, পটুয়াখালীতে ২২, ভোলায় ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ২৮ ও ঝালকাঠিতে ৭ জন আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। তাদের ইতোমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, বরিশালের মুলাদী ও পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় একজন, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে একজন এবং বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে একজন করে মোট ছয়জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
এমএস/এফএম