কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় ওই ওষুধ ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন ওষুধগুলো হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম কোনো ওষুধ হস্তান্তর করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওষুধ গ্রহণকালে জানান, বিশ্বের বহু দেশ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ থেকেও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ছয়টি কোম্পনিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার ওষুধ প্রস্তুত করতে প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিয়েছে। ওই ওষুধ আরও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বাজারজাত করতে হবে। উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়া উৎপাদিত ওষুধ এখনই বাজারজাত করা যাবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আরও অনেক ধরনের ওষুধের নাম চলে আসছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশই শতভাগ কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি। তবে আমাদের পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, আমেরিকান রেমডেসিভির ওষুধ (গ্রুপ) উৎপাদনে এনে বেক্সিমকো এর নাম দিয়েছে ‘বেমসিভির’। ওই ওষুধ আপাতত সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসারত ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড-১৯ রোগীদের শরীরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশ করানো হতে পারে।
‘আশা করি এটি দিয়ে মানুষের উপকার হবে, জীবন রক্ষা হবে। ’
এই ওষুধ এখনই বাজারজাত করা হবে না বলে জানান বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।
ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, সিএমএইচডির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহিদুল্লাসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ