শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৪৭টি ল্যাবের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে নয় হাজার ৯৯৩টি।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন, বরিশাল বিভাগে এক জন, ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছেন এক জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ১৩ জন, বাসায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন পাঁচ জন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৮৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ১৯০ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২২৫ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৬০ জন। হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৫০৭ জন। অদ্যাবধি কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই লাখ ৫৮ হাজার ৯৪ জন। কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ ৩ হাজার ১৭১ জন বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৪ হাজার ৯২৩ জন।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তৎক্ষণিকভাবে এ সব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে। নতুন তিনটি হাসপাতালসহ ১৭টি বেসরকারি হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। ১৭টি বেসরকারি হাসপাতালে মধ্যে ১৪টি ঢাকার ভেতরে। বাকি তিনটির মধ্যে দুটি চট্টগ্রামে, একটি বগুড়ায়। বেসরকারি ১৭টি হাসপাতালসহ বর্তমানে দেশের ৪৭টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। ঢাকার ভেতরে রয়েছে সাত হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
আরআইএস/পিএস