সোমবার (০১ জুন) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে ভোলা ব্যতীত ৫ জেলায় ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এর মধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৩ হাজার ৫৬৩ জনকে, আর এরমধ্যে ১১ হাজার ৩৭৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখন বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৯৫৯ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৭৭৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫২ জন এবং এরইমধ্যে ৩০৬ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৩১৯ জন, পটুয়াখালীতে ৫৮, ভোলায় ৪৩, পিরোজপুরে ৬৯, বরগুনায় ৬৫ ও ঝালকাঠিতে ৫৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে গোটা বিভাগে ১৪৪ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলায় স্বপন মজুমদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ আসে। তিনি শনিবার (২৯ মে) বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে সেই রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে।
এছাড়া এর আগে মৃত্যু হওয়া করোনা পজিটিভ ১০ জনের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে ১ জন করে মোট তিনজন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে মোট ২ জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঁঠালিয়াতে ১ জন করে মোট ২ জন, বরিশালের মুলাদীতে ১জন, পিরোজপুরের নাজিরপুরে ১ জন ও ভোলার লালমোহনে ১ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এমএস/এএটি