ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই।
করোনা ইউনিটের দেওয়ালে ‘কোভিড-১৯ (করোনা) হাসপাতাল এলাকা সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ’ লেখা থাকলেও ইচ্ছেমতো লোকজন করোনা সেখানে প্রবেশ করছে, আবার বেরিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচতলায় করোনা ইউনিটে এই দৃশ্য দেখা যায়। হাসপাতালে আসা লোকজন ইচ্ছেমতো করোনা ইউনিটে প্রবেশ করলেও দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নতুন ভবনের সামনের রিসেপশনে বসে তাদের গল্পে মশগুল দেখা যায়।
করোনা ইউনিটের ভেতরে লিফটের সামনে আরও ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। গাদাগাদি করে রোগী ও তাদের স্বজনদের লিফট ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
ইউনিটে দায়িত্বরত তিন আনসার সদস্যের একজন সাইফুল। এগুলো তো দেখা দরকার বলেই বিগলিত হাসি দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি।
এ ব্যাপারে কথা হয় করোনা ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাফিজ সরদারের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, নতুন ভবন পুরোটাই করোনা ইউনিট। এই ইউনিটে মানুষ যত আসবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ততই বাড়বে। হাসপাতালের লিফটগুলোকে রেড জোন ও গ্রিন জোন করা হয়েছে। তবুও মানুষ তা মানছে না।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের জন্য একটি লিফট বরাদ্দ আছে। সেখানে একদিন আমাকে ধাক্কা দিয়ে হুড়মুড় করে লোকজন ঢুকে গিয়েছে। এগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। তবে আমাদের হাসপাতালের পরিচালক স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে খুব চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আনসার সদস্যদের দায়িত্ব হলো হাসপাতাল থেকে কেউ যেন কোনকিছু চুরি করে নিয়ে যেতে না পারে ও রোগীদের নিরাপত্তা দেওয়া।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গাদাগাদি করে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। বিষয়টি আমরা কড়াকড়িভাবে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
এজেডএস/এমজেএফ