সিলেট: সিলেট থেকে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে সারাদেশে মৃত্যুঘণ্টা বাজায় প্রাণঘাতী করোনা।
২০২০ সালের ৫ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৫ এপ্রিল ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডা. মঈন উদ্দিন। করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যু হয় এই চিকিৎসকের।
গত এক বছরে করোনা ভাইরাসে সেই মৃত্যুর মিছিল ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে। আর সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁই ছুঁই। শনিবার পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট নয় হাজার ৬৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিলেটে যাত্রা লগ্নে ২০২০ সালের এপ্রিলের মত ২০২১ সালের এপ্রিলেও সিলেটে ভয়ঙ্কর পুনরাবৃত্তি ঘটেছে করোনার। নিত্যদিন বাড়ছে আক্রান্তের হার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারি পরিচালক ডা. আনিসুর রহমানের দেওয়া তথ্য মতে, শনিবার (১০ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টার হিসাবে সিলেট বিভাগে ১৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত নয় মাসের আক্রান্তের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের পরিসংখ্যানবিদ মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সময়ে ১৯৫ জন আক্রান্তের পাশাপাশি মারা গেছেন দুই জন। একজন সিলেটের এবং অন্যজন মৌলভীবাজারের। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১৬৩ জন সিলেট জেলার, হবিগঞ্জের সাত জন, মৌলভীবাজারের ২৫ জন রয়েছেন। এছাড়া বিভাগে আক্রান্ত হওয়া ১৭৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেটে করোনার বিশেষায়িত চিকিৎসালয় শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সুশান্ত মহাপাত্র বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ৩৭ জনসহ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৮ জন। এছাড়া এর মধ্যে ১৪ জন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩০০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ সিলেট জেলায় ২৩০ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ জন, হবিগঞ্জে ১৮ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ২৫ জন মারা গেছেন।
বিভাগে গত এক বছরের ১৮ হাজার ৫৩৩ জন আক্রান্ত হয়ে ১৬ হাজার ৬৯৯ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
এনইউ/কেএআর