ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮১৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ জনে।
রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ২১২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৪৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২১টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৯৩টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৯ হাজার ২৯৮টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৩৭৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫০ লাখ ২ হাজার ৮৬৫টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ জন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে চার জন করে আট জন, সিলেট বিভাগে দুই জন। এছাড়া রংপুর বিভাগে এক জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৭৭ জন, বাড়িতে এক জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৪৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয় জন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৩৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২২৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ১১ হাজার ১৩১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৫ হাজার ৫৭১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৫৬০ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
পিএস/আরআইএস