ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যে সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা কথা বলতে পারে না ও কানে শোনে না, সে সকল শিশুদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট ৩ জন শিশুকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১১ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য রোবটিক সার্জারি চালু, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সেন্টার স্থাপন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এবং স্পীচ থেরাপির পর যখন কোনো শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু মা-বাবা বলে ডাকে সেই আনন্দের অনুভূতি ওই মা-বাবার কাছে যে কতটা বিশাল তা বলে বোঝানো যাবে না। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। শুধুমাত্র প্রতিটি কক্লিয়ার ডিভাইস এর মূল্যই ১০ লাখ টাকার বেশি। ফলে অভিভাবকদের পক্ষে এই বিশাল ব্যয়ভার বহন করে সন্তানের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হয় না।
অনুষ্ঠানে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অটোল্যারিংগোলজি-হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের জন্য একটি সুদক্ষ চিকিৎসক টিম। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম এ পর্যন্ত ৫১৫ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করেছে। এসকল শিশুরা এখন কানে শুনতে পারছে এবং কথা বলতে পারছে।
এই অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, ১২ মে, ২০২১
পিএস/কেএআর