ঢাকা: প্রথম ডোজ নেওয়া ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯২ জনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার (২৩ মে) সন্ধায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৫৩ জন। প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩০ জন। আর এ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১ জন। এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছে ৪০ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৫ জন।
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছে মোট ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৬ জন। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজের চুক্তি হলেও এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ। হাতে আছে আর ৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৩৪ ডোজ। সেই হিসাবে প্রথম ডোজ নেওয়া ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯২ জনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে সংকট রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরও একাধিকবার জানিয়েছে, টিকা নিয়ে সংকট না কাটলে প্রথম ডোজ নেওয়া সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না।
রোববার (২৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রথম ডোজ নেওয়া সবাইকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে কিনা কিংবা অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে কিনা- এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। সিন্ধান্ত হলে অন্য কোম্পানির টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য অনেক দেশ একাধিক প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে। সেখানে আমাদের কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে থাকাটা ঠিক হয়নি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে সরকার যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে অনুরোধ করেছে। তবে অনুরোধে এখনও সাড়া মেলেনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে হতাশা কেটে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে। ইতোমধ্যে চীন থেকে ভ্যাকসিন এসেছে। শিগগিরই মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ও বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিন আসবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখানে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা রয়েছে তা আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে যারা কোভিড-১৯ প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন তাদের অধিকাংশেরই দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বাকিদের যাতে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া যায় সেক্ষেত্রেও নানামুখী তৎপরতা চলছে। আশাকরি, তাদেরও দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
পিএস/এএ