ঢাকা: রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিন দিন আগে ৬৫ বয়সী এক রোগী মারা যান। এই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ছিল, তার কিডনিতেও সমস্যা ছিল।
মঙ্গলবার (২৪ মে) বারডেম হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক নাজিমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তি করোনায় মারা গেছেন, কনফার্ম ডায়োগনসিস না হলে বলা যাবে না, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসেই মারা গেছেন। নিশ্চিত করতে হলে আরও ৩ থেকে ৫ দিন লাগবে। মারা যাওয়া রোগীর কালচার না পাঠালে নিশ্চিত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কিনা তা বলা মুশকিল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনো বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত, দুই রোগী হাসপাতালে
বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে বারডেম হাসপাতালের একটি কেবিনে ৫৫ বছর বয়সী ওই রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। প্রায় এক মাস আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি যান। কিন্তু আবার জ্বর দেখা দিলে তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বারডেমে নেওয়া হয়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছত্রাক–জাতীয় এক রোগ, যা প্রধানত কভিড রোগীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। মাত্রা ছাড়া স্টেরয়েড নিলে, বেশি দিন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকলে অথবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ছত্রাকের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শাকসবজি, মাটি, ফল, একই মাস্ক প্রতিদিন পরা থেকে এই রোগ ছড়ায় বলে সতর্ক করা হয়েছে।
উপসর্গ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, নাক ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, রক্তবমি ইত্যাদি।
ভারতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের তামিলনাড়ু, গুজরাট, উড়িষ্যা, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা—এই পাঁচ রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১/আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা
পিএস/এমজেএফ