চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। যদিও গত ৭ দিনে চেয়ে শুক্রবার (২৯ মে) সংক্রমণের হার ৩৪ ভাগ যা কয়েকদিনের তুলনায় অনেক কম।
জেলায় সংক্রমণ বাড়ায় বিশেষ লকডাউন ঘোষণার চতুর্থ দিনের মাথায় শনাক্তের হার কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। এছাড়া ব্যাপকহারে করোনা পরীক্ষা না হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রকৃত তথ্যও জানা না যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে।
এদিকে বিশেষ লকডাউনের পঞ্চম দিনে যথারীতি সকল মার্কেট, দোকান-পাটসহ বিভিন্ন কার্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল গণপরিবহনও। তবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। মফস্বলের মোড়গুলোতে ছিলো জটলা। আবার অনেকের মুখে ছিল না মাস্কও। অপরদিকে, শহরের মোড়গুলোতে ছিল পুলিশের কঠোর নজরদারি। অন্যদিনের মতো জেলায় ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছিলো পুলিশি টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ৩২৬টি নমুনার ফলাফল না আসায় গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে এর আগের দিন নতুন আক্রান্তসহ মোট করোনায় আক্রান্ত ১৫৬৭ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট প্রাণহানি ৩২।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ১১৩টি এবং শুক্রবার ২৫৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ কম হলে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি তারা ইতোমধ্যেই জেলার সংক্রমণের মাত্রা নির্ধারণ করতে ব্যাপকহারে নমুনা সংগ্রহে জোর দিচ্ছেন।
এদিকে শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় জেলাবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সোনামসজিদ এলাকায় ট্রাক চালকদের অবাধ বিচরণ এ ভয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
সোনামসজিদ এলাকার লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ভারত থেকে যেভাবে ভারতীয় ট্রাকের চালক ও সহকারীরা আসছেন এবং বাইরে ঘোরাফেরা করছেন এতে তারা আতঙ্কিত।
সোনামসজিদ মধ্য বাজার এলাকার এক বাংলাদেশি শ্রমিক বাংলানিউজকে জানান, পাথরের ট্রাকের ভারতীয় চালক ট্রাক থেকে নেমে দোকানে নাস্তা আনতে গেছে। এভাবে তাদের ঘোরাঘুরিতে তারা আতঙ্কিত।
শিবগঞ্জ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা মামুন বাংলানিউজকে জানান, ট্রাক চালক ও ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা সোনামসজিদ দিয়ে প্রবেশের কারণে যদি ভারতীয় ধরনটি সংক্রমিত হয় তবে দ্রুত এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, যে ৭ জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে তাতে আতঙ্কের কিছু নেই। যে সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ভারত ভ্রমণের তথ্য নাই। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়ে তারা আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২১
এনটি