ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
দেশে এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন

ঢাকা: সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১২ হাজার ৩১৩ জন। আর এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছে ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৩ জন।

প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে মোট টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৬ হাজার ২৫৮ জন।

মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ ডোজ। একই প্রতিষ্ঠানে তৈরি একই টিকার আরো ৩২ লাখ ডোজ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয়। অন্যদিকে চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া গেছে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা। সবশেষ গতকাল সোমবার (৩১ মে) গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে পাঠানো হয়েছে ফাইজারের ১ লাখ ৬০২ ডোজ টিকা। এ নিয়ে মোট টিকা এসেছে ১ কোটি ৮ লাখ ৬০২ ডোজ।

ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছে ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৩ জন। অর্থাৎ
প্রথম ডোজ নেওয়া ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭২ জনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়েই দেখা দিয়েছে সংকট।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১২ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩৮৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ৯২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, চলতি সপ্তাহের পরে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা একেবারেই ফুরিয়ে যাবে। পরবর্তী টিকার চালান না আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা সংগ্রহের জন্য চেষ্টা করছে সরকার। তাদের কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে বাড়তি টিকার মজুদ রয়েছে, তা বিভিন্নভাবে সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশাবাদী, কোনো না কোনোভাবে এ উৎসগুলো থেকে চাহিদা মোতাবেক টিকা সংগ্রহ করতে পারবো। কিন্তু তারপরও হয়তো ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেতে বিলম্ব হবে। আশা করা যায়, আগামী ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যেই টিকা পেয়ে যাবেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।