যশোর: যশোরে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসনের চেষ্টার পরও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার কারণে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যশোরের পরিস্থিতি।
বর্তমানে এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ১৯৭ জন। রোববার (১৩ জুর) নতুন করে ভারত ফেরত চার জনসহ ১৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ছয় হাজার ৬০০ জন। নতুন করে আক্রান্ত ১৫০ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৭৭ জন। এছাড়া কেশবপুরে তিন, ঝিকরগাছায় চার, অভয়নগরে নয়, মণিরামপুরে পাঁচ, বাঘারপাড়ায় এক, শার্শায় ১১ ও চৌগাছায় আটজন রয়েছে।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বাংলিানিউজকে জানান, রোববার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ৬২ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩২ জনের।
অপরদিকে, খুলনায় ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের।
যমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আরিফ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের রেডজোনের ৮০ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৬৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি ১৩ জন হয়েছে। এ ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৪ জন। ইয়োলে জোনো ১৯ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪০। নতুন করে ভর্তি হয়েছে ২৪ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪ জন রোগী।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারত ফেরত করোনা আক্রান্ত চারজনকে রেডজোনে ভর্তি করা হয়েছে। ১২ জুন জেলার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নমুনা পরীক্ষায় চার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ। এ পর্যন্ত ভারত ফেরত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে।
যশোর পৌরসভা থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯টি ওয়ার্ডে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৮৬৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে চার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ জন রয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানান, সংক্রমণ প্রতিরোধে সবধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। রোগীর একটু চাপ থাকলেও তা সামাল দিতে সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
ইউজি/এনটি