ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘সংক্রমণ সমাজে ছড়িয়ে পড়লে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
‘সংক্রমণ সমাজে ছড়িয়ে পড়লে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়’ ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: করোনা সংক্রমণ সমাজে ছড়িয়ে পড়লে, যে পরিমাণ লোক আক্রান্ত হবে, তাদের সামাল দেওয়ার সক্ষমতা বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।  

শুক্রবার (২৫ জুন) দিনগত রাত ১১টায় ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এর উদ্যোগে ‘চিকিৎসায় অবহেলা আইন এবং চিকিৎসক হয়রানি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।

 

ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে লোকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির যে অবস্থা, সেটার জন্যেও আমরা অনেক কথা শুনছি। আমাদের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সক্ষমতাতো আর রাবার না, রাবারও একসময় আর বড় হয়না। আমাদের ১০টা বেড ছিল, সেখান থেকে ২০ বেড, এরপর ৪০, ৬০ এবং ১০০ বেড করা হয়েছে। এরপর কি হবে। হাজার জাহার লোক সংক্রমিত হচ্ছে। প্রথম দিকে আমাদের যে সক্ষমতা ছিল, তার থেকে অনেক বেশি সক্ষমতা এখন হয়েছে। তারপরেও সংক্রমণের হার যখন সোসাইটিতে (সমাজে) ছড়িয়ে পড়বে, তখন যে পরিমাণ লোক আক্রান্ত হবে, তাদের সামাল দেওয়ার সক্ষমতা বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পক্ষে সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা গত একবছর ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন,  তারা বার্ন আউট হয়ে গেছে। তারা কোনভাবেই আর পারছেন না। চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রেস মিডিয়া যেভাবে লেখে তাতে মনে হচ্ছে একমাত্র হাসপাতালেরই দায়। আর কারও দায় নেই। একসময় সত্যি সত্যি ডাক্তাররা হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে যাবে, আমাদের ডাক্তাররা এটা আর সামাল দিতে পারবেন না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, প্রণোদনার কথা অনেকে বলেছেন, অনেক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তারা প্রণোদনা চান না, তারা একটি ভালো কর্ম পরিবেশ চায়, অন্যকিছু নয়।  ডাক্তারদের যারা আক্রমণ করে তারা কিন্তু ভারত পাকিস্তান থেকে আসেন না, তারা এদেশেরই লোক। এ ক্ষেত্রেও আমাদের সচেতনতার প্রবল ঘাটতি রয়েছে। বিদেশে যারা সেবাদানকারী, তাদের ওপর আক্রমণ করলে ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় পড়ে। সেটা যদি আমরা প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে আমাদের ডাক্তারদের সুরক্ষা হবে।

ওয়েবিনারে সম্মানিত প্যানেলিস্ট হিসেবে আলোচনায় আরও অংশ নেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, সাবেক সংসদ এবং বিএমএ সভাপতি ডা. মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিএমএ নির্বাহী সদস্য ডা. মুস্তাক হুসেন, ডক্টরস প্লাটফর্ম ফর পিপলস হেলথ সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. শাকিল আখতার, জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম লালা।

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদ। সঞ্চালনা করেন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের যুগ্ম সম্পাদক ডা. এম এইচ ফারুকী।

স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম এবং মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ খান।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।