খুলনা: খুলনায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত ভাঙছে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে ল্যাবের পরিবেশ ‘দূষিত’ হয়ে পড়ায় ল্যাব ও নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। ল্যাবটি চালু হওয়ার ১৫ মাস পর তিনদিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সভাপতি এবং খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ৩০ জুন নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে ল্যাব দূষণের বিষয়টি ধরা পরে। ৩০ জুন প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ নমুনা পরীক্ষায় সবগুলোই পজিটিভ ধরা পড়ে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে ল্যাবটি দূষিত হয়েছে বলে প্রমাণ মেলে। এরপর ১ জুলাই থেকে ল্যাবটির কার্যক্রম তিনদিনের জন্য বন্ধ রেখে দূষণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, খুমেক হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে থাকা রোগীদের মধ্যে যাদের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। ল্যাবটি বন্ধ থাকলেও মজুত প্রায় দুই হাজার নমুনা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডা. মেহেদী নেওয়াজ আরও বলেন, খুবিতে একদিনে মাত্র ৯৪টি নমুনা পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। খুমেকের আরটিপিসিআর ল্যাব থেকে কিট, রি-এজেন্ট নিয়ে এখানকার জনবল গিয়েই খুবির ল্যাব থেকে শুধু প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো করিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, পিসিআর ল্যাব স্বাভাবিক রাখতে প্রতি মাসে অন্তত একবার করে দূষণমুক্ত করা প্রয়োজন। কিন্তু খুমেকের পিসিআর ল্যাবটি গত বছর ৭ এপ্রিল থেকে চালুর পর কখনই এমনটি করা হয়নি। ল্যাবে প্রচুর চাপ ছিল। যে কারণে মাসে দু’দিন বন্ধ রাখা ছিল অসম্ভব।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকলেও খুলনাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এন্টিজেন পরীক্ষা যথারীতি চালু থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২১
এমআরএম/ওএইচ/