ঢাকা: কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বিষয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে স্কুল ছাত্র অপূর্ব চক্রবর্তীকে ব্যয়বহুল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সাউন্ড প্রফেসর বিনামূল্যে প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সময়মতো শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করলে ওই সকল শিশুরা কানে শুনতে পারে, কথা বলতে পারে, এমনকি তারা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। তাই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিষয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে আরো সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সেবা চালু রয়েছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই মহতী চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে প্রদান করছে। এরফলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজে বোঝা না থেকে তারা সমাজের মূল স্রোতাধারার অংশ হিসেবে জনসম্পদে পরিণত হচ্ছে।
অপূর্ব চক্রবর্তীকে ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস প্রদান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়। বর্তমানে সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে এবং স্কুলে লেখাপড়া করছে।
কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কর্মসূচীর পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ জুলাই পর্যন্ত পর্যন্ত ৫৪৭ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই শিশু।
তিনি জানান, শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অধিকমাত্রায় কার্যকরী। তবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষে কিশোর ও তরুণ বয়সের শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্যও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যকরী হতে পারে যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময় ২৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২১
এসএমএকে/এসআইএস