রাজশাহী: করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ভারত সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে কেবলমাত্র কিট সংকটের কারণে চার দিন ধরে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বন্ধ রয়েছে।
বেশি সংখ্যক মানুষকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনতে রাজশাহী মহানগরীতে গত ৬ জুন থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়।
পরে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট ও হাসপাতাল সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর মোড়সহ শহরে আরও আটটি স্পট বাড়ানো হয়। জনবহুল মোট ১৩টি স্পটে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছিল। কার্যক্রম চলমান অবস্থায় ১৩টি স্পটে প্রতিদিন ১ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হতো।
প্রথমদিকে এই টেস্ট করাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম ছিল। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। কিন্তু কিট সংকটের কারণে গত ১ জুলাই থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বন্ধ রয়েছে। তবে মহানগরীতে বন্ধ হলেও উপজেলা পর্যায়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু আছে। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। কিট এসে পৌঁছালে আবারও টেস্ট শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে থাকা আরটিপিসিআর ল্যাবে নমুনা সংগ্রহকারী তিন জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। তাই এখন শহরের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা রাজশাহী মহানগরে প্রায় ২০ হাজার মানুষের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করেছেন। কিন্তু কিট ফুরিয়ে গেছে বলে গত ১ জুলাই থেকে টেস্ট বন্ধ রয়েছে। কিটের জন্য তারা ইতোমধ্যে সিভিল সার্জন দফতরে চিঠি দিয়েছেন।
আর র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট সংকট প্রশ্নে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, মহানগর এলাকায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে। তবে রাজশাহী জেলার উপজেলাগুলোতে টেস্ট চলছে। কিটের সংকট রয়েছে। তাই কিটের ঘাটতি মেটাতে এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। শিগগিরই কিট এসে পৌঁছাবে। তখন রাজশাহী মহানগর এলাকায় আবারও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সিভিল সার্জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২১
এসএস/এমজেএফ