ঢাকা: গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে ডেল্টা ভেরিয়্যান্ট শনাক্ত হয়। বাড়তে থাকে সংক্রমণ।
রোবার (৪ জুলাই) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিকোয়েন্স করা সব নমুনায় আলফা ভেরিয়্যান্ট পাওয়া যায়। মার্চ মাসের সিকোয়েন্স করা নমুনার ৮২ শতাংশে বিটা ভেরিয়্যান্ট ও ১৭ শতাংশ নমুনায় আলফা ভেরিয়্যান্ট মেলে। এপ্রিল মাসেও বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের মধ্যে বিটা ভেরিয়্যান্টের প্রাধান্য ছিল।
জানা যায়, SARS-CoV-2 ভাইরাসটি ২০১৯ সালে প্রথম শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেকগুলো ভেরিয়্যান্ট শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে সংক্রমিত মানুষদের মধ্যে SARS-CoV-2 ভাইরাসটির ভেরিয়্যান্ট শনাক্তের জন্য দেশে এ রোগটি শনাক্ত হওয়ার শুরু থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আইসিডিডিআর,বি ও আইদেশী যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৬৪৬টি সংগৃহীত কোভিড-১৯ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব নমুনায় কোভিড -১৯ এর আলফা ভেরিয়্যান্ট (ইউকে-তে প্রথম শনাক্ত), বিটা ভেরিয়্যান্ট (সাউথ আফ্রিকাতে প্রথম শনাক্ত), ডেল্টা ভেরিয়্যান্ট (ভারতে প্রথম শনাক্ত), ইটা ভেরিয়্যান্ট (নাইজেরিয়াতে প্রথম শনাক্ত), বি ১.১.৬১৮ ভেরিয়্যান্ট (আনআইডেন্টিফায়েড) শনাক্ত হয়েছে।
কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষায় প্রাপ্ত ভেরিয়্যান্ট সম্পর্কিত তথ্য জিনোম সিকোয়েন্সের বৈশ্বিক ডাটাবেজে GISAID জমা দেওয়া হয।
যে ধরনের ভেরিয়্যান্টই হোক না কেন তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণই একমাত্র উপায়। সঙ্গে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২১
পিএস/এএ