ঢাকা: করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি যদি আগামী দুই সপ্তাহে নিয়ন্ত্রণে না আসে এবং বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি করুণ হয়ে যাবে। হাসপাতালে শয্যার সংকট দেখা দিতে পারে।
রোববার (১১ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, বছরের ২৬ সপ্তাহের তুলনায় ২৭তম সপ্তাহে করোনারোগী শনাক্তের হার ৩১ শতাংশে বেড়েছে। এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী কয়েক দিনে দৈনিক শনাক্ত ১৪ বা ১৫ হাজার হওয়ার আশঙ্কা আছে।
রোবেদ আমিন বলেন, ২৭ সপ্তাহে অর্থাৎ ৪-১০ জুলাইয়ের মধ্যে মৃত্যু অনেক বেড়েছে। এসময় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৭৭ জনের। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বয়স ৫০ বছর বা তার বেশি। এদের বেশির ভাগেরই কোমরবিডিটি (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ) ছিল। এছাড়া ৩১-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃতের হার ৫ শতাংশ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ ও মৃতের হার বেশি।
এসময় অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক বলেন, করোনা রোধে সোমবার (১২ জুলাই) থেকে দেশের জেলা, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এছাড়া পরশু মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) থেকে সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে কোভ্যাক্সের মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
তিনি বলেন, আজকের মধ্যেই সারাদেশের টিকা কেন্দ্রগুলোতে সিনোফার্মের টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে। আর গতকাল (শনিবার) রাতেই সিটি করপোরেশনের ভেতরের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মডার্নার টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
শামসুল হক বলেন, হাসপাতালগুলোতে টিকা দিতে আগেই আমরা সিনোফার্মের টিকা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এখন যেহেতু গণটিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে, তাই জেলাগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ফাইজারের যে এক লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিলাম, সেগুলো দিয়ে আমরা চারটি মেডিক্যাল কলেজ ও তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালসহ ঢাকার মোট সাতটি কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু করেছি। এই সাতটি হাসপাতালে এখন ফাইজারের টিকার কার্যক্রম চলবে। এই কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে তারপর এসব কেন্দ্রে মডার্নার টিকা কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার সাতটি হাসপাতাল বাদে বাকি ৪০টি কেন্দ্রে সিনোফার্মের টিকা কার্যক্রম আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। ১৩ তারিখ থেকে সেগুলোতে মডার্নার টিকা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
পিএস/এএ