সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোড়দিয়া শেখপাড়াকে প্রথম ভ্যাকসিনেটেড গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ শাকিল হোসেনের নেতৃত্বে গ্রামের তরুণরা গত ৩ সপ্তাহ ধরে গ্রামের মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করেছে। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে ল্যাপটপ-প্রিন্টার নিয়ে বুথ বসিয়ে ফ্রিতে ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করে দিয়েছে। এদের বেশিরভাগই অন্তত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
গ্রামের মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে উৎসাহিত করা ও সকলকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার উদ্যোক্তা শেখ শাকিল হোসেন বলেন, করোনার ভ্যাকসিন সহজলভ্য হলেও ভ্যাকসিন ভীতি ও নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গ্রামের মানুষের ভেতর টিকা গ্রহণে অনীহা ছিল। শুরুতে আমরা গ্রামের তরুণদের নিয়ে সবাইকে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছি ও ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী করেছি। গ্রামের মানুষ ধর্মীয় প্রতিনিধিদের কথা শোনেন। আমরা মসজিদের ইমামদের সহযোগিতায় মানুষদের টিকা নিতে উৎসাহিত করি। আমরা গ্রামের ৩ শতাধিক ৩০ ও তদুর্ধ্ব (সরকার ঘোষিত শর্তানুযায়ী) মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি।
গ্রামের তরুণ শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন, মিয়ারাজ হোসেন, হাসানুর রহমান, সাকিবুর রহমান, মাহবুবুল হক, আজগার আলী, তৌফিকুজ্জামান ও রোহেল উদ্দীনসহ অনান্যরাও এগিয়ে আসেন এই উদ্যোগে।
জোড়দিয়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শেখ মোনায়েম হোসেন বলেন, টিকার নিবন্ধন করতে গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ নিবন্ধন বুথ স্থাপন করে স্থানীয় তরুণরা। মসজিদগুলোর মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রচার করা হয় এই খবর। সঙ্গে সঙ্গে টিকা কার্ডও প্রিন্ট করে দিয়েছে তারা। এছাড়াও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিবন্ধন করে দিয়েছে। তারা সঠিক সময়ে টিকাদান কেন্দ্রে যাওয়াও নিশ্চিত করেছেন।
জোড়দিয়া বায়তুল আতিক জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা ফরিদ আহম্মাদ আরারী বলেন, তরুণরা আমাকে বিষয়টা জানালে আমি গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি জুম’আর খুতবায় তুলে ধরি। গ্রামবাসীকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করি। ৩০ বছরের উপরে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
এনটি