ঢাকা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ২৫৫ জনের।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৫০ হাজার ২২০ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৪৩ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩১ টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৬০ টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৫ হাজার ৯৮২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫২ হাজার ২৮২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৩ জন ও ১১৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৪৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১৪ জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে নয়জন রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ১৮১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৩ জন এবং বাড়িতে ১৫ জন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন পাঁচ হাজার ৮৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ২২১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৮৬ হাজার ১০৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ চার হাজার ২৪৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮১ হাজার ৮৫৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
আরকেআর/ওএইচ/