ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যশোরে ৩৫ শতাংশ মানুষের শরীরে ‘অ্যান্টিবডি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২১
যশোরে ৩৫ শতাংশ মানুষের শরীরে ‘অ্যান্টিবডি’

যশোর: যশোরে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ‘অ্যান্টিবডি’ পাওয়া গেছে।  

এ মানুষগুলো কোনো না কোনোভাবে করোনা আক্রান্ত বা এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

জেলার তিনটি উপজেলার ছয়টি অঞ্চলের ৪০০ মানুষের ওপর এ গবেষণা চালিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মানুষের শরীর থেকে রক্তের নমুনা নিয়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পদ্ধতিতে এ গবেষণা চালানো হয়। করোনার ডেল্টা ধরনের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধের প্রকৃত হার জানতে এ গবেষণার উদ্যোগ নেয় যবিপ্রবি।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বাড়িতে করোনা রোগী ছিল সেই সব পরিবারের সদস্যদের শরীরে ৩৮ শতাংশ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আর করোনা রোগীর বাড়ির আশপাশে সংক্রমিত নয় এমন বাড়ির ২৪ শতাংশ মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়। তবে গ্রামের তুলনায় শহরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির শতকরা হার কম।

এ গবেষণায় ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের বাদ দেওয়া হয়েছে।  

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এত বেশি মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি থাকা প্রমাণ করে আমাদের চারপাশে করোনা উপসর্গহীন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। অধিক জনসংখ্যা, মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা পজিটিভ মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

গবেষক দলটি গবেষণার বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বা তাদের সংস্পর্শে আসায় প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তবে করোনা থেকে বাঁচতে বা ‘হার্ড-ইমিউনিটি’ তৈরির জন্য মানুষের শরীরে কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবডি থাকা প্রয়োজন। তাই মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়াতে এবং প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কতদিন থাকবে, তা গবেষণায় প্রমাণিত না হওয়ায় করোনা থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, টিকা না নিলে আরও দীর্ঘদিন আমাদের এই মহামারিতে ভুগতে হবে।  

তিনি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি বাড়ানোর জন্য সরকারের গণটিকা কর্মসূচির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং এ উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ দেন।

যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘অ্যান্টিবডি’ শনাক্তকরণের গবেষক দলের সদস্যরা হলেন, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পিপাসা সুলতানা, সুরাইয়া ইয়াসমিন, লক্ষ্মী সরকার এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশাদ মাহমুদ চয়ন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২১
ইউজি/এনএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।