ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৯ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
৯ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইতোমধ্যে নয় কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ ২০২১’ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ৯ কোটি ডোজ টিকা দিয়ে ফেলেছি। প্রায় ৬ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ২১ কোটি টিকা আমরা ক্রয় করেছি। সব মিলে সাড়ে ১১ কোটি করোনা ভাইরাসের টিকা পেয়েছি। আমরা দেশের বয়স্ক মানুষদের টিকা দিয়েছি। যার ফলে বয়স্কদের মৃত্যুহার এখন কমে আসছে। ফ্রন্টলাইনের কর্মীদেরও টিকা দেওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীদেরও এখন আমরা টিকা দিচ্ছি। বর্তমানে ঢাকার বস্তিবাসীদের আমরা করোনার টিকা দিচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেও আমরা এখন টিকা দিচ্ছি। যার ফলে প্রতি সপ্তাহে আমরা ৬০ থেকে ৭০ লাখ টিকা দিতে পারছি।  

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বজুড়ে যে এন্টিবায়োটিক তৈরি করা হচ্ছে, সেই এন্টিবায়োটিকগুলো যদি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে, এর ফলে যে সমস্ত রোগ তৈরি হয় সেগুলো আমরা নিরাময় করতে পারবো না। তখন মৃত্যু হার বেড়ে যাবে, রোগের হার বেড়ে যাবে। তাই এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি যেনতেনভাবে অনিয়মিত, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ, যদি এন্টিবায়োটিক ওষুধের কোর্স সম্পন্ন না করি তাহলে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ডেভেলপ করবে। এছাড়া যদি নিম্নমানের এন্টিবায়োটিক হয়, তার কারণেও এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ডেভেলপ করে। ফলে অসুখ সারবে না, উল্টো রেজিস্ট্যান্স বাড়তে থাকবে। ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়বে। রোগীদের হাসপাতালে দীর্ঘ সময় থাকতে হবে। হাসপাতালে রোগীর বাড়তি চাপ তৈরি হবে।  

তিনি বলেন, হাঁস-মুরগি পালন, মাছ উৎপাদন ও গরু মোটাতাজাকরণে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত হলে ওইসব হাঁস-মুরগি-মাছ-মাংস খেলে সেই এন্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে চলে আসে। তখন আমাদের শরীরের অজান্তেই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কমাতে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পারবে না। গণমাধ্যমসহ সব মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কাজ করতে হবে।

আলোচনা সভা থেকে বলা হয়, শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক বিক্রয়, সেবন করতে হবে। এন্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশনে উল্লেখিত সময় ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ অনুভব করলেও প্রেসক্রিপশনে নির্দেশিত এন্টিবায়োটিক কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী অটোমোটেড ড্রাগ লাইসেন্সিং ও রিনিউয়াল সিস্টেমের উদ্ভোধন করেন।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এ বি এম খুরশিদ আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বারডান জাং রানা, বিশ্ব খাদ্য সংস্থ্যার প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১, আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।