ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাশিফল

পড়ার ঘরেই লুকিয়ে পড়াশোনায় ভালো ফল

জ্যোতিষী রুবাই | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫
পড়ার ঘরেই লুকিয়ে পড়াশোনায় ভালো ফল

পরীক্ষা এলেই শুরু হয়ে যায় মা-বাবার টেনশন। কেমন হবে ছেলে-মেয়ের রেজাল্ট? ভালো ফল করবে তো? পরীক্ষার্থীদেরও বুক ঢিপ ঢিপ অবস্থা।

সারা বছরের পরিশ্রম যেন জলে না যায়। কিন্তু এমনটাও দেখা গিয়েছে, বছরভর খেটেও ভালো ফল হয়নি। তা হলে উপায়?

মনে রাখতে হবে বিদ্যার ক্ষেত্রে ইতিবাচক বা পজিটিভ এনার্জি সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী ‘এনার্জি’ তৈরি করা যায় না অথবা ধ্বংস করা যায় না। শুধু তাকে রূপান্তর করা যায়। অর্থাৎ, ‘নেগেটিভ এনার্জি’-কে ‘পজিটিভ এনার্জি’-তে পরিণত করা যায়।

প্রাচীন শাস্ত্রগুলি বলছে, বাস্তুশাস্ত্রের নিয়মে পড়ার ঘর সাজালে সুফল পাওয়া যেতে পারে। পড়ার ঘরে ‘নেগেটিভ এনার্জি’ সরিয়ে ‘পজিটিভ এনার্জি’ আনতে পারে কিছু বাস্তুমতের পরিবর্তন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে বাস্তুশাস্ত্র। জেনে নিন, বাস্তুমতে কীভাবে শিক্ষার্থীর পড়ার ঘর সাজাবেন।

বাস্তুমতে, পড়ার ঘর পুব বা উত্তর-পূর্বমুখী হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ঈশাণ কোণ অর্থাৎ, উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে বসে পড়াশোনা করলে ভালো ফল মিলবে। সেই সঙ্গে ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে ক্রিস্টাল বল রাখতে হবে। এতে ঘরে পজিটিভ এনার্জির পাশাপাশি পড়ায়ও মনোযোগ বাড়বে।

দাবা- রাজনীতি, বই- অধ্যয়ন, পেইন্টিং- সৃজনশীলতা এবং বাঁশি- সঙ্গীতের প্রতীক। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, এই চারটি বস্তু পড়ার ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে শিক্ষায় সাফল্য আসবে।
অনেক সময়ই দেখা যায়, পড়ার ঘরের সব জিনিস ঠিক দিকে এবং ঠিক অভিমুখে রাখা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বা পড়াশোনায় সাফল্য আসছে না। এমনটা কেন হয়?

আসলে দীর্ঘদিন একভাবে জিনিস থাকার ফলে ঘরে পজিটিভ এনার্জি আসতে পারে না। এমন নিষ্ক্রিয়তা কাটাতে চাইলে আবার নতুন করে ঘর সাজাতে হবে। জিনিসপত্র নতুনভাবে রাখতে হবে। তাহলেই পজিটিভ এনার্জি আসবে।

সপ্তাহে এক বার লবণজল দিয়ে ঘর মুছলেও একই ফল মিলবে। পড়ার ঘরের দেওয়ালে আয়না থাকলে লক্ষ্য করুন পড়তে বসলে তাতে কি পড়ুয়ার ছায়া পড়ে? এমন যদি হয়, তাহলে সবার আগে আয়না সরিয়ে এমন জায়গায় রাখুন যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর ছায়া পড়বে না।

কারণ, পড়ার সময় আয়নায় ছায়া পড়লে শিক্ষার্থীর কাছে পড়া 'বোঝা' হয়ে দাঁড়ায়। তাদের একাগ্রতা ভেঙে যায়। অনেকে পড়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।

ছোটদের স্বভাবই হলো টেবিলে বই-খাতা ছড়িয়ে পড়তে বসা। আর পড়ার শেষে টেবিল না গুছিয়ে উঠে পড়া। পড়ার টেবিল কিন্তু সবসময় পরিচ্ছন্ন, গোছানো থাকা উচিত। তাতে পড়ার প্রতি ইতিবাচক এনার্জি তৈরি হবে।

আরও একটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে পড়ার চেয়ারের পিছনে যেন দরজা বা জানালা না থাকে। এমনভাবে টেবিল রাখবেন যাতে পড়তে বসলে চেয়ারের পিছনে দেওয়াল পড়ে। এর ফলে বাইরের ‘নেগেটিভ এনার্জি’ ছাত্রদের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাবে।

পড়ার ঘরের দেওয়ালের রং সব সময় হাল্কা হবে। তাই স্বাচ্ছন্দ্যে বাছতে পারেন হাল্কা হলুদ, সাদা, বাদামি, গোলাপি, আকাশি বা হাল্কা ফিরোজা রং।

পড়ার ঘরের ফার্নিচারও একই রঙের হবে। সেই সঙ্গে বাচ্চাকে নানা রঙের পেন-পেন্সিল ব্যবহার করতে দিন। এতে মস্তিষ্কে ইতিবাচক এনার্জি বেশি করে প্রবেশ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।