ঘর বোঝাই পুরনো আসবাব। হাতে সময় কম, তাই পরিবর্তন করা যাচ্ছে না পুরনো আসবাবগুলো।
কিন্তু জানেন কি, এসব পুরনো আসবাব আপনার জীবনে যে কোনো সময় বয়ে আনতে পারে দুর্ভাগ্য, দুঃসময়!
আপনি অবাক হলেও কথাটি একশো ভাগ সত্য ও প্রমাণিত। এই বক্তব্যের সবচেয়ে বড় প্রমাণ প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্র।
বাস্তুমতে, ঘরে আসবাব ঠিকমতো সাজিয়ে না রাখলে বা ঘর বোঝাই জিনিস থাকলে সেই ঘরে ইতিবাচক এনার্জি ঢুকতে করতে পারে না। কারণ, শুভ ভাব প্রবেশের রাস্তা আটকে রাখে বাড়তি আসবাব।
বিষয়টি কতটা সঠিক ও বাস্তবসম্মত তা একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়।
যেসব পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল সেসব পরিবারের বাসগৃহ দেখলেই বোঝা যায়। সচরাচার সেখানে কোনো বাড়তি আসবাব থাকে না। থাকে না কোনো পুরনো ভাঙা-চোরা রঙচটা আসবাবও। কিন্তু অসচ্ছল কোনো পরিবারের বাড়িতে গেলেই দেখতে পাবেন আসবাবের নামে জমে রয়েছে জঞ্জালের স্তূপ। যা চোখে পড়লেই অন্তরের ইতিবাচক ভাব মুহূর্তে উধাও হয়ে যায়।
এর মানে এই নয় যে ঘরে রাখতে হবে শুধু দামি আসবাব। বা নতুন আসবাব না কিনলে আপনার ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। তবে অপ্রয়োজনীয় ও ভাঙা আসবাব যা কাজে লাগে না, তা জড়ো করে রাখলে ইতিবাচক এনার্জির প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এটা মনে রাখতে হবে।
তাই ঘর সাজানোর নামে একগাদা জিনিস রাখার বদলে বেছে বেছে এমনই কিছু জিনিস রাখুন যেগুলি ঘর ও আপনার জন্য সত্যিই দরকারি।
এবার দেখা যাক কি ধরনের জিনিস দুর্ভাগ্যের কারণ হতে পারে, যা সরিয়ে ফেলা আবশ্যক।
ঘরে ভাঙা চেয়ার বা টেবিল থাকলে দেরি না করে তাকে সরিয়ে ফেলুন। পরেন না এমন জুতো ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখার অভ্যাসও কিন্তু বাস্তুমতে দুর্ভাগ্যের কারণ। অবশ্যই জুতো রাখার জায়গাটি পরিষ্কার রাখুন। যতই ব্যস্ত থাকুন ঘরের কোণে মাকড়সার জাল জমতে দেবেন না। ঘরের পক্ষে এটাও শুভ নয়। ফুলদানিতে শুকনো ফুল দিনের পর দিন ফেলে রাখবেন না। এই অভ্যাস অযথা হয়রানি বয়ে আনে জীবনে। ফুলদানির জল প্রতিদিন পরিষ্কার করুন। মাছ নেই এমন খালি অ্যাকুরিয়ামও ঘরে রাখবেন না।
শুধু দেখতে ভালো বলে খারাপ হয়ে যাওয়া ঘড়িটার মায়া কাটাতে পারছেন না? যদি এমন হয় তবে জেনে রাখুন, এতে কোনোদিন আপনার জীবনে সাফল্য আসবে না। খারাপ ঘড়ি সরিয়ে ভালো ঘড়ি রাখুন।
তাই আর দেরি নয়, সৌভাগ্য বরণ করে নিতে পুরনো ভাঙা আসবাদ বিদায় দিয়ে অবশ্যই নতুনভাবে সাজিয়ে ফেলুন আপনার বাড়ি। ফল পাবেন অতি দ্রুত।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৫